চতুর্থ দফার ভোটে ‘এপিসেন্টার’ হয়ে উঠেছিল শীতলকুচি। দফায় দফায় সংঘর্ষ, পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘আত্মরক্ষার জন্য’ গুলি। মোট মৃত্যু ৫ জনের। শীতলকুচি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতরও চরমে গিয়েছে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা সেখানে কোনও রাজনীতিবিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যেই ফের চাঞ্চল্য শীতলকুচিতে। ভোটপর্ব মিটতে না মিটতেই মাথাভাঙ্গার বৈরাগীহাটের রাস্তায় বোমা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
গতকাল ভোট মেটার পর সকালে গ্রামের মানুষ দেখেন রাস্তায় বোমা পড়ে রয়েছে। এরপর তাঁরা খবর দেন মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশকে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুলিশ সেখানে তখনও এসে পৌঁছয়নি। গতকাল পাঁচ জনের মৃত্যুর পর ফের একই অঞ্চলে বোমা দেখে আতঙ্কিত স্থানীয়রা। চতুর্থ দফার ভোটে বঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ জনের। কমিশন জানায়, ৩০০-৪০০ জন এলাকাবাসী তেড়ে আসায় বাধ্য হয়ে ‘আত্মরক্ষার জন্য’ গুলি চালাতে হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
এরপরই গুলি চালানোর ধরন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও নির্বাচন কমিশনকে দুষে বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূল। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করে বিজেপি। রবিবার সকালে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে শীতলকুচির ঘটনাকে ‘নন্দীগ্রামের মতো গণহত্যা’ বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি ভিডিয়ো কলে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
Be the first to comment