ফের শীতলকুচিতে চলল গুলি, সংঘর্ষের মাঝে প্রাণ হারালেন এক যুবক

Spread the love

চতুর্থ দফার ভোটে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল শীতলকুচি। চারজনের মৃত্যুতে অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। এবার ভোটের ফল প্রকাশের পর সেই শীতলকুচিতে ফলাফল পরবর্তী রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় ফের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। তাঁর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই বলে জানা গিয়েছে।

শীতলকুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। কে বা কারা এই গুলি চালাল তা স্পষ্ট নয়। তবে দুই দলের সংঘর্ষের মাঝে পড়েই ওই যুবক আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছে তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে, রবিবার রাত থেকেই শীতলকুচির বিভিন্ন এলাকা রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সেখানে বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই সময়ই শীতলকুচির ছোট শালবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানিক মৈত্র নামে ওই যুবক বাড়ির আশেপাশে ভাঙচুর হচ্ছে, সেই পরিস্থিতি দেখতে যায়। তখনই ওই এলাকায় গোলাগুলি চলছিল। আর সংঘর্ষের মাঝে পড়ে সেই গুলি এসে তাঁর পেটে লাগে। এর পরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়।

মৃত যুবকের আত্মীয় বলেন, দুই দলের মধ্যেই ঝামেলা হচ্ছিল। কোন দল গুলি চালিয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন, মানিক মৈত্র কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী নন। ভোটের ফল প্রকাশের পর হিংসা ঘটনা ঘটছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়।

এই শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় আনন্দ বর্মণ নামক এক কিশোরের। তারপর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে অশান্তির ঘটনা ঘটে এবং আধাসেনার ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় চার ভোটারের। সেই শীতলকুচিতে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী বরেণ বর্মণ। জয়ের ব্যবধানটাও কম নয়। ভোটগণনা শেষে দেখা যাচ্ছে, শীতলকুচিতে ১৭ হাজার ৮১৫ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন বিজেপির এই প্রার্থী। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তৃণমূলের পার্থ প্রতিম রায়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*