শীতলকুচির শহিদ মঞ্চে ফটো সেশনের কায়দায় ছবি তোলার পরামর্শ দিলেন মমতা

Spread the love

শীতলকুচি নিয়ে নিহতদের পরিবারকে ফটো সেশনের কায়দায় ছবি তোলার পরামর্শ দিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট আবহে তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে। চতুর্থ দফা নির্বাচনে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শীতলকুচির জোরপাটকি এলাকা। সে দিন সকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আনন্দ বর্মন নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে, জোরপাটকি এলাকায় ১২৬ নম্বর বুথের অদূরে গুলি চালিয়েছে সিআরপিএফ। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়। ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।

বুধবার সকালে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথাভাঙা হাসপাতালের পাশের মাঠে তৈরি হয় শহিদ মঞ্চ। সেখানেই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদ মঞ্চেই মমতাকে বলতে শোনা যায়, “আপনারা এক জন এসে ওদের ছবি তুলে দিন। যদি আপনারা ছবি তুলতে চান।” মঞ্চের দিকে প্রেসকে আসতে বলে মমতা বলেন, “একটা প্রেস আর একটা টিভি আসুন, ছবি তুলে নিন। তাহলে টোটালটা পেয়ে যাবেন।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শহিদ মঞ্চে দাঁড়িয়ে রীতিমতো ফটো সেশনের কায়দায় নিহতদের পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছেন নেত্রী। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনাও। এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আর কোনও ইস্যু নেই ওঁর কাছে। তিনি জানেন, ভোট হারছেন। এই ভাবে মানুষের সেন্টিমেন্ট কুড়ানোর চেষ্টা করছেন। ওঁর কাছে ভোটের কোনও স্ট্র্যাটেজি নেই। তাই ছবি এঁকে আর ছবি তুলে সময় কাটাচ্ছেন।”

মাথাভাঙায় নিহত পাঁচ জনের নামে শহিদ বেদি তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করেন মমতা। জায়গাও চিহ্নিত করে দেন। বেদি তৈরি হলে তার উদ্বোধনও তিনি করবেন বলে ঘোষণা করেন। তবে উল্লেখ্য, চতুর্থ দফা নির্বাচনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আনন্দ বর্মন নামে যে যুবকের প্রথম মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে, তাঁর পরিবারের সদস্য অর্থাৎ বাবা-মা-দাদা কেউই এদিন এই মঞ্চে আসেননি। এসেছিলেন নিহতের দূর সম্পর্কের দাদু ও মামা। নিহত বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের পরিবারের সদস্যরা নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*