শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরই ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের মান ভাঙাতে উদ্যোগী হল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তবে কোনও দলীয় নেতা নন, এ দিন ব্যারাকপুরের বিধায়কের কাছে পৌঁছন টিম পিকে-র দুই সদস্য ৷ যদিও বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক তাঁদেরকেও জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়বেন না ৷ ফলে নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকছেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, দলীয় নেতারা কেউ না এসে টিম পিকে-র দুই সদস্য তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক ৷
এ দিনের বৈঠক প্রসঙ্গে শীলভদ্র দত্ত বলেন, ‘ওঁরা জানতে চাইল কী সমস্যা ৷ আমি আগেও যেটা প্রকাশ্যে বলেছি, সেটাই বললাম ৷ তার থেকে পিছিয়ে আসার জায়গা নেই আর সেরকম কারও ঘটেনি ৷ প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর দলের কাজকর্ম নিয়েও আগেও আপত্তি জানিয়েছেন শীলভদ্র দত্ত ৷ এ দিনও তিনি বলেন, ‘পিকে-র দলের কাজকর্ম আমার পছন্দ হয়নি৷ দলের নেতারা এলে অনেক ভাল হত ৷ তবে এটা তাঁদের ব্যাপার ৷ দল যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছে, তাঁরাই এসেছেন ৷
একই সঙ্গে অবশ্য তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দলের নেতারা এলেও তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরবেন না ৷ ব্যারাকপুরের বিধায়কের দাবি, তাঁর কোথায় সমস্যা হচ্ছে সে সম্পর্কে দলীয় নেতৃত্বকে অনেক দিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন ৷ তাঁর কথায়, এই আসাটা আরও আগে হলে ভাল হত ৷
পাশাপাশি তিনি ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দলের যে নেতারা তাঁকে কটাক্ষ করেছেন, তাঁদেরকেও জবাব দিয়েছেন শীলভদ্র দত্ত ৷ তিনি বলেন, কেউ কেউ আমায় ইঁদুর, বাঁদর বলছে ৷ ইঁদুরের মতো নাকি আমি গর্তে ঢুকে যাচ্ছি ৷ ইঁদুরের তো জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ারও ক্ষমতা থাকে ৷ তাহলে কি যাঁরা আমাকে ইঁদুর বলছেন তাঁদের মতে তৃণমূলের জাহাজ ডুবছে? আমি তো তা মনে করি না ৷ আমার মতে তৃণমূল আগামী নির্বাচনে ২০০-র বেশি আসনে জয়লাভ করবে ৷
যদিও উত্তর চব্বিশ পরগণায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, এ দিনের বৈঠকের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না ৷ শীলভদ্র দত্ত বরাবরই মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷ মুকুলবাবু তৃণমূল ছাড়ার পর থেকেই দলে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বর্ষীয়ান এই বিধায়ক ৷ সম্প্রতি তিনি জানিয়ে দেন, আগামী নির্বাচনে আর লড়বেন না তিনি ৷
Be the first to comment