বুথের ভিতর মায়ের বুক থেকে কেড়ে নেওয়া হল দেড় বছরের শিশুকে। চুলের মুঠি ধরে মারা হল মহিলাকে। দেওয়া হল শিশুকে আছড়ে খুন করার হুমকিও! সন্তানের জন্য বুক ফাটা কান্না মায়ের। শীতলকুচির জোরপাটকি এলাকায় ভোট চতুর্থীর উন্মত্ত দলের তাণ্ডবে লজ্জাজনক ঘটনা।
মধ্য চল্লিশের ওই মহিলা বলেন, আমি কোনও সরকারই চাই না। শুধু আমার বাচ্চাটাকে ফিরত চাই। ঠিক কী ঘটেছিল? প্রশ্ন করতেই হাউ হাউ করে ওই মহিলা বললেন, আমি সবেমাত্র ভোট দিতে গিয়েছিলাম। বুথের ভিতর ঢুকেছি। বোতামও টিপি নি দাদা। হঠাৎ মারপিট বুখের ভিতর। অনেকের মাথায় রক্ত। আমার চুলের মুঠি ধরে মারা হল। বুক থেকে বাচ্চাটাকে কেড়ে নিল। সব মুসলিম মহিলা ছিল। কে কেড়ে নিল বুঝলাম না। ভিড়ের মধ্যে কিচ্ছু বুঝলাম না। এখন আমার বাচ্চাটাকে কোথায় পাই?
মহিলার আরও অভিযোগ, দেড় বছরের শিশুকে আছড়ে মেরে ফেলার হমকিও দেওয়া হয়।
ভোট চতুর্থীর সকাল থেকেই হিংসার নিরিখে লাইমলাইটে শীতলকুচি। রাত থেকে কড়া প্রহরা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশের। নজর কমিশনেরও। তবুও রোখা সম্ভব হল না হিংসা। সকালেই পাঠানটুলিতে আনন্দ বর্মন নামে তেইশ বছরের এক তরুণের মৃত্যু হয়। তিনি বিজেপি কর্মী বলে দাবি। এই অভিযোগ ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে সকালেই।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় গ্রামবাসীদের। ঘণ্টা খানেকের খবর আসে মাথাভাঙা ও শীতলকুচির মধ্যবর্তী এলাকা জোরপাটকিতে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেখানে চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। গুলি চালনার কথা স্বীকার করেছে কমিশন। আত্মরক্ষার জন্য আধা সেনা গুলি চালিয়েছে বলে কমিশন উল্লেখ করেছে। গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন কমিশনও।
Be the first to comment