নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে কেটে গিয়েছে প্রায় দু’সপ্তাহ। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও মরাঠাভুমিতে সরকার গঠন করতে পারে বিজেপি ও শিবসেনা জোট। তবে দু’পক্ষই নিজেদের তোলা দাবি থেকে কোনভাবেই পিছু হটতে রাজি নয়। এমন অবস্থায় বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী সুধীর মুনগান্তিওয়ার জানিয়েছিলেন ৭ নভেম্বরের মধ্যে সেখানে সরকার গঠন না হলে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন।
নির্বাচনে বিজেপির হাত ধরে জয়লাভ করেছিল শিবসেনা। কিন্তু ক্ষমতার লভে ক্রমেই নিজেদের দাঁত নখ বের করছে শিবসেনা। জানিয়েছিল দরকার পড়লে বিজপিকে ছাড়াই তারা সরকার গঠন করতে পারে মহারাষ্ট্রে। কিন্তু কোনভাবেই তাদের তোলা দাবির সামনে মাথা নীচু করতে রাজি নয় বিজেপি শিবির।আর বিজেপি নেতার করা মন্তব্যের পরে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত সাংবাদিকদের সামনে জানিয়েছিলেন ”সরকারের এক নেতা জানিয়েছেন, সরকার গঠন করা না হলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে। এটা কি নির্বাচিত বিধায়কদের ভয় দেখানোর কোন পন্থা?” তিনি আরও জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি শাসনের ভয় দেখানো মানে সাধারণ মানুষদের অসম্মান করা।
শিবসেনার এই সাংসদ জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের মানুষজন বিশেষ কোন দলকে নয় তারা মহায়ুতির( বিজেপি ও শিবসেনা জোট) পক্ষে রায় দিয়েছিল। এছাড়াও সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, আমাদের জোট ফেভিকল বা অম্বুজা সিমেন্টের থেকে বেশী শক্তিশালী।
মুনগান্তিওয়ার জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন সরকার গঠন করতে হবে নয়তো রাজ্যতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। আর তারপরে শিবসেনার মুখপত্রে বিজেপি নেতার মন্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করা হয়। বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে অসাংবিধানিক বলেও জানানো হয়। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয় এই মন্তব্য করার ফলে সাধারণ মানুষদেরও অসম্মান করা হয়েছে।
শনিবার মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মুনগান্তিওয়ার জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকার গঠন করা না হলে কি হতে পারে তাই জানানো হয়েছে। আর তা সম্পূর্ণ সংবিধান মেনেই। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন যদি কোন শিক্ষক ছাত্রদের কোন প্রশ্নের উত্তর দেন তাহলে কি সেটা হুমকি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়? মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজেপি ২৮৮ টি আসনের মধ্যে ১০৫ টি আসন এবং শিবসেনা ৫৬ টি আসনে জয়লাভ করে।
এছাড়াও, নির্বাচনের পরে নির্দল সাংসদের সমর্থন জানানোতে জোর বেড়েছিল শিবসেনার। কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ টি আসন। নির্বাচনী ফলপ্রকাশের পর থেকেই শিব সেনা আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের দাবিতে অনড়। যদিও বিজেপির তরফ থেকে এই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেবেন্দ্র ফড়নবীশকেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাখা হয়।
শিবসেনার মুখপত্রে জানানো হয় এই মুহূর্তে যে সকল চাসিরা ফসল নষ্ট হওয়াতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সাহায্য করা ভীষণভাবে দরকার সরকার গঠন করা নয়। এনসিপি এই মুহূর্তে বিকল্প হতে পারে যদি বিজেপি শিবসেনা জোট সরকার গঠন করতে না পারে। জানিয়েছেন বিরোধী দলের মুখপাত্র নওয়াব মালিক।
Be the first to comment