১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় নির্বাচন। হাতে আর এক মাসেরও কম সময় বাকি। প্রতিটি দলই নিজের নিজের মতো করে ভোটের রণকৌশল তৈরি করছে। গোয়ার শাসক দল বিজেপিকে সরিয়ে নতুন সরকার গঠনে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা। কিন্তু বিরোধীরা কার্যত ক্ষতবিক্ষত। কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই ভোটে ময়দানে জোট করছে বিরোধীরা।
একদিকে যখন কংগ্রেস একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন তৃণমূল আবার পাশে পাচ্ছে উদ্ধব ঠাকরে, সঞ্জয় রাউতদের। ভোটমুখী গোয়ায় শিবসেনা এবং তৃণমূল একসঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছে। তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে শিবসেনা। শিবসেনার তরফে ইতিমধ্যেই গোয়ার নির্বাচনের জন্য নয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। আর তার পর কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই শিবসেনার তরফে সঞ্জয় রাউত ঘোষণা করে দেন, তাদের দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে আসন্ন নির্বাচনে লড়বে।
সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, “আমরা মহারাষ্ট্রের মতো একটি মহা বিকাশ আগাড়ি জোট গঠন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।” তাঁর আরও বক্তব্য, “কংগ্রেস নেতৃত্বের আত্মোপলব্ধি করা প্রয়োজন। আমরা জোট শরিকদের ১০ টি আসন দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। এমন জায়গাগুলিতে যেখানে কংগ্রেস কখনও নির্বাচনে জয়ী হয়নি অর্থাৎ, রাউতের কথা থেকেই স্পষ্ট, কেন মহারাষ্ট্রের মতো কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা জোট গোয়াতে করা সম্ভব হয়নি।
তবে শিবসেনার সঙ্গে কংগ্রেসের আসন নিয়ে রফা না হলেও, জাতীয় স্তরে ‘বিরোধী রাজনীতির ভীষ্ম’ শরদ পাওয়ারের এনসিপির সঙ্গে জোট নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না সঞ্জয় রাউতদের। তাই কংগ্রেসকে কার্যত একলা ফেলেই শরদ পাওয়ারকেই সঙ্গে নিয়ে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবসেনা। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই শিবসেনা ও এনসিপির মধ্যে জোট করার ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। দুই দলই এক ডজন আসনে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
উল্লেখ্য, ভোটের মুখে গোয়ায় কার্যত এক ঘরে হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। আসন সমঝোতা না হওয়ায় এনসিপি, শিবসেনার সঙ্গে জোট করতে পারেনি কংগ্রেস। তৃণমূলের গোয়া ইউনিটের তরফে মহুয়া মৈত্র অবশ্য কংগ্রেস এক ছাতার তলায় আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও বিশেষ কাজ হয়নি। এরই মধ্যে মমতার তরফে ফের একবার কংগ্রেসকে কাছে টানার প্রয়াস চলছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে এসএমএস পাঠিয়েছেন মমতা। সেই এসএমএস বার্তার সারমর্ম কিছুটা এরকম – ২০২৪-এর লক্ষ্যে বিজেপিকে হারাতে প্রয়োজনীয় রণকৌশল তৈরি করার এটাই সময়। তাই অবিলম্বে আলাপ – আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন। যদিও সূত্রের খবর, কংগ্রেস হাইকমান্ড এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে বিশেষ কিছু ভাবছে না।
Be the first to comment