চন্দ্রাবলী ব্যানার্জী-
সত্য স্যার নিষ্ঠাবান বামুন ঘরের ছেলে,
সূর্য প্রনাম মন্ত্র শেখান সামনে কাউকে পেলে ।
ছেলেরা আড়ালে হাসা হাসি করে কল্কি অবতার বলে,
সত্য স্যার রাগে না কখনো ওকথাটি কানে গেলে ।
বুক ফুলে ওঠে গর্বে যে তার ব্যাঙ্গ বোঝেনা মোটে ,
বাংলা বই বগলে চেপে হেসে হেসে ক্লাসে ঢোকে ।
টাকের পরে চুল নেই মোটে, টাক ঢাকার বৃথা চেষ্টা,
কানের পাশের চুলগুলো টেনে মান বাঁচান তিনি শেষটা ।
নাকের পরে চশমাটি বেশ বসে থাকে আটোসাটো,
পরনে ময়লা হাফ সার্ট আর,ফুল প্যান্টটা খাটো ।
টায়ারের চটি পায়ে পরা থাকে,রঙ বোঝা তার দায় ,
ময়লা পৈতে বার করে রাখে যাতে বামুন বলে চেনা যায় ।
এক এক করে পড়া ধরে সবে,অর্থ বাক্যরচনা,
ছেলেরা সব হা করে থাকে,যেন কথাটি কানে যায়না ।
বললেন হেঁকে বলতো তোরা “কাকস্য পরিবেদনা” মানে ?
এ ওর মুখে চুপিসারে চায়,কথাটা প্রথম শোনে ।
স্যার বললেন খাতা বের কর,টুকে নে সবাই খাতায়,
কাক, পরীরা এক সহযোগে বসিয়া বেদানা খায় ।
এবার বলতো ” উত্তর সুরী ” কথার অর্থ কি ?
–“উত্তর পাড়ার সুরী খানা” স্যার এটার মানেটা জানি ।
মদনা কে দেখে গদগদ হয়ে,বললো সত্য স্যার ,
তুই আছিস তাই মান রক্ষে হল এ যাত্রা আমার –।
হেড স্যার ছিলেন দরজার পাশে তার, চক্ষুচড়ক গাছ,
বলেন ডেকে সত্য বাবুরে কি শিখাইতেসেন আজ ?
মদনা কে দেখে, দেঁতোহাসি হেসে বলেন সত্যবাবু,
দেখলেন তো স্যার, বাংলাটা আজ কেমন হয়েছে কাবু ।
Be the first to comment