ভোট বড় বালাই। নইলে কি আর এই ভোটে জিততে এত কিছু করতে হয় নেতাদের! কেউ প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেন, কেউ আবার অবান্তর স্বপ্ন দেখান ভোটারদের। কেউ নিতান্ত ভাল মানুষটি সেজে থাকার ভান করেন, আবার কাউকে দেখা যায় প্রকাশ্যেই আইন হাতে তুলে নিতে। কিন্তু এই মহিলা প্রার্থী যা করলেন তা শুধু অবাক করা নয়, লজ্জাজনকও বটে। শুধু ভোটে জেতার জন্য একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বাল্যবিবাহে উৎসাহ দিলেন এক মহিলা। তাঁর বক্তব্য “আমাকে ভোট দিন, আপনাদের ছেলে-মেয়ের ছোটবেলায় বিয়ে হলে পুলিশ আটকাবে না।”
ঘটনাটি রাজস্থানের। আগামী ৭ ডিসেম্বর এ রাজ্যের ভোটগ্রহণ। তার আগে ভোটপ্রচারে এর মধ্যেই নানা রকমের বিতর্কে জড়িয়েছে বিজেপি-কংগ্রেস দুই শিবিরই। তেমনই এক বিতর্কে জড়ালেন রাজস্থানের সোজাত বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শোভা চৌহান। বাল্যবিবাহকে সমর্থন করলেন প্রকাশ্যেই।
আসলে সোজাতের স্থানীয় দেওয়াসি সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনও বাল্যবিবাহের চল আছে। কিন্তু প্রশাসন চেষ্টা করছে শক্ত হাতে তা দমন করতে। শুধু রাজস্থান কেন, গোটা দেশ থেকেই বাল্যবিবাহ নামক কুপ্রথাটি দূর করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। অথচ, এই বিজেপি নেত্রী ভোটের আশায় সেই প্রথাকেই উৎসাহ দিলেন। সোজাতের পিপালিয়া কালা নামের একটি গ্রামে দেওয়াসি সম্প্রদায়ের এক জমায়েতে শোভা চৌহান বললেন,”আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে জেতান। আমাদের হাতে ক্ষমতা থাকলে আপনাদের ছেলে মেয়েদের ছেট বয়সের বিয়েতে পুলিশকে বাধা দিতে দেব না।”
বিজেপি নেত্রীর এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আশতেই তাঁকে নিয়ে সমালোচনায় মুখর নেটিজেনরা। অনেকেই বলছেন, ক্ষমতার লোভে সমাজকে অন্ধকারের দিকে ঢেলে দিচ্ছেন শোভা চৌহানদের মতো নেতারা।
Be the first to comment