তবে কি বিজেপিতে শোভন-বৈশাখী চ্যাপ্টার পাকাপাকি বন্ধ? প্রার্থী তালিকা দেখে অন্তত এমন প্রশ্নই উঠছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে প্রার্থী করা হল অভিনেত্রী শ্রাবন্তীকে।
ভোটের মুখে সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন টলিপাড়ার এই নায়িকা। উল্লেখ্য, বেহালা পশ্চিমে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করার কথা ভেবেছিল পদ্মশিবির, এমনটাই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু, বেহালা পূর্বে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন শোভন। সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে। বেহালা পূর্বে প্রার্থী না করায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থীপদ না দেওয়ায় গত রবিবার বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শোভন-বৈশাখী।
সূত্রের খবর, বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে শোভনকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। বেহালা পূর্বের টিকিট না দেওয়া তাঁর কাছে নৈতিক পরাজয় বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন শোভন।
অন্যদিকে, বৈশাখীকে প্রার্থী না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। আর এ নিয়েই অসন্তোষের সূত্রপাত। রবিবার ফেসবুকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘শোভন চিরদিনই আমার আইকন থাকবেন। আজকের অপমান আমাদের উদ্যমকে থামাতে পারবে না। আমরা লড়াই করে জিতব। ষড়যন্ত্র বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। বেহালা পূর্বের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে। এটাই আমাদের সবথেকে বড় শক্তি।’
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বিজেপি একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। এখানে কর্মীরা নিয়ম মেনেই কাজ করেন। দল যাকে যা নির্দেশ দিয়েছেন, সেই মতো কাজ করতে হবে। কেউ তা না করতে পারলে, তাঁরা নিজেদের মতো ভাববেন। কেউ দলের শৃঙ্খলার বাইরে নন।’
অন্যদিকে, বালি কেন্দ্রে পদ্মপ্রতীকে লড়ছেন তৃণমূলত্যাগী বৈশালী ডালমিয়া। এদিন প্রথমে বাকি ১৪৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির। তারপর ফের আরও বাকি নয় আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। কোচবিহার দক্ষিণে প্রার্থী নিখিল রঞ্জন দে, নাটাবাড়িতে প্রার্থী মিহির গোস্বামী, আলিপুরদুয়ারে সুমন কাঞ্জিলাল, ফালাকাটায় দীপক বর্মন, সোনারপুর উত্তরে রঞ্জন বৈদ্য, শিবপুরে প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী, সপ্তগ্রামে প্রার্থী দেবব্রত বিশ্বাস।
এদিকে, এবার কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে মুকুল রায়কে। ভবানীপুরে প্রার্থী অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
Be the first to comment