একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। হয়েছিলেন প্রার্থী। আট মাসেই হয় মোহভঙ্গ। গত বছরের ১১ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় গেরুয়া শিবির ছাড়ার কথা জানান শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এবার তৃণমূলের প্রচারমঞ্চে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। বহরমপুর পুরসভার ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করলেন শ্রাবন্তী।
বুধবার বিকেল থেকে বহরমপুর পুরসভার ৭, ১৪, ১৫, ২৫, ২৮-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট প্রচারে যোগ দেন শ্রাবন্তী। পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমুল প্রার্থী সুব্রত দাস এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রিতা হালদারের ভোট প্রচারের সভায় অভিনেত্রী পৌঁছাতেই এলাকাবাসী উলুধ্বনি দিতে শুরু করেন। “বহরমপুরে প্রথম প্রচারে এসে খুব ভাল লাগছে, ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে শহরের মানুষের মধ্যে”, বলেন জানান শ্রাবন্তী। পাশাপাশি আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে এদিন সন্ধ্যায় বহরমপুরের খাগড়ার নেতাজি মোড়ে যুব তৃণমুল রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ প্রচার সভায় উপস্থিত হন। পুরসভার ৬, ১১, ১২, ১৩ নম্বর-সহ শহরের আরও তিনটি স্থানে সভা করেন তিনি। প্রচারের মাঝেই যুব তৃণমূলের সভানেত্রী জানান, বহরমপুরের মানুষ বোধহয় একটু কম বিশ্বাস করে তৃণমূলকে। ফলে আগের বার ঘাসফুল শিবিরকে ভোট দেননি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক উন্নয়নে এবার মানুষ দু’হাত ভরে ভোট দেবেন বলে বিশ্বাস সায়নীর।
বিরোধীদের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সায়নী জানান, কারও সম্পর্কে কথা বলে এক্সট্রা মাইলেজ দিতে চান না তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার মাঠে কাজ করছে। তার ফল অবশ্যই পাওয়া যাবে বলে মত তাঁর। বিভিন্ন সভায় জনজোয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে যুব নেত্রী জানান, তাঁর জন্য জনজোয়ার নয়, এ সবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ার।
“বাধা-বিপত্তি যতই আসুক না কেন তৃণমূল সরকার কাজ করে যায়, আগামী দিনেও যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬৮টি প্রকল্প নিয়ে বারবার বলতে হবে না। ১০ বছর আগে কী ছিল, ৩৪ বছর আগে কি ছিল মানুষ সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন। ভারতীয় জুমলা পার্টি-সহ (বিজেপি) ভোটপাখিদের আর বিশ্বাস করবেন না। প্রধানমন্ত্রী নিজের জন্য ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে প্লেন কিনতে পারছেন, কিন্তু কিছু কিলোমিটার দূরে দিল্লিতে কৃষকদের জন্য যেতে পারছেন না। যেখানে ৭০০ জন কৃষক প্রাণ দিয়েছেন। ফলে বিজেপিকে আর বিশ্বাস নয় ,দু’হাত ভরে ভোট দিন তৃণমূলকে”, বহরমপুরের মানুষকে আহ্বান করে বলেন সায়নী ঘোষ।
Be the first to comment