প্রতীকী ছবি,
মডেল হওয়ার লোভ দেখিয়ে কিশোরীর অশালীন ছবি তোলেন দুই যুবক এবং এক যুবতী। পরে সেই ছবি দেখিয়েই চলে ব্ল্যাকমেল। শ্যামবাজারের বাসিন্দা ওই তিন যুবক-যুবতীকে অবশেষে গ্রেফতার করে টালা থানার পুলিশ। আদালতে তোলা হলে তিনজনকেই দু’বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০,০০০ টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারক।
ঘটনাটি গত এপ্রিল মাসের। পুলিশ জানিয়েছে, তিন অভিযুক্তের নাম অরুণাংশু ঘোষ, ঋতুপর্ণা সাহা এবং জয়ব্রত রায়। তাঁদের কেউ উঠতি মডেল, আবার কেউ ফটোগ্রাফার। বছর ষোলোর এক কিশোরীকে তাঁরা মডেলিংয়ের লোভ দেখিয়ে ফটোশুটের জন্য ডেকে পাঠায়।
কিশোরীর কথায়, নীলমিত্র রোডের একটি বাড়িতে তাকে যেতে বলে ওই তিনজন। গ্ল্যামার জগতের লোভে সেও তাদের কথা বিশ্বাস করে। ওই বাড়িতেই মেয়েটির কিছু অশালীন ছবি তোলে তিনজন। ঋতুপর্ণা নামের যুবতীটি সবচেয়ে বেশি ভয় দেখায় কিশোরীকে। জোর করে তাকে অশ্লীল পোজ দিতে বাধ্য করে। ঋতুপর্ণার সঙ্গে যোগ দেন অরুণাংশু এবং জয়ব্রত। শুধু ছবি তুলতে বাধ্য করাই নয়, দুই যুবক মিলে কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ।
মেয়েটি কোনও ভাবে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে। কিন্তু, তার পরেও তাকে অনেকবার ডেকে পাঠায় ওই তিনজন। মেয়েটি যেতে রাজি হলে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল করা। কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, গত ২১ এপ্রিল মেয়েটির কাকার মোবাইলে তার একটি ছবি পাঠায় অরুণাংশু। সেই সঙ্গে টাকা চেয়ে হুমকি দেয়, চাহিদামতো টাকা না মিললে এইসব ছবি সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেওয়া হবে।
মেয়েটির পরিবার অভিযোগ জানায় টালা থানায়। দ্রুতই টালা থানার অফিসারেরা গ্রেফতার করেন অরুণাংশু আর ঋতুপর্ণাকে। তৃতীয় অভিযুক্ত জয়ব্রত নিজেই আত্মসমর্পণ করে থানায়। তিনজনের বিরুদ্ধেই পকসো (POCSO- Protection of Children from Sexual Offences) এবং ইনফর্মেশন টেকনোলজি আইনে মামলা রুজু হয়। যথাযথ প্রমাণসহ চার্জশিটও জমা দেওয়া হয়। সম্প্রতি সেই মামলারই রায় বেরিয়েছে। তিনজনেরই দু’বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০,০০০ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জরিমানা অনাদায়ে শাস্তির মেয়াদ বাড়বে আরও তিন মাস।
Be the first to comment