মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামইয়ার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিণত হলো বিরোধী জোটের মঞ্চে। এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে দেখা গেল দেশের ছয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি একাধিক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী শিবিরের দলীয় সুপ্রিমোদের। নিজে উপস্থিত না থাকলেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলার তরফে প্রতিনিধি পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সিদ্দারামাইয়ার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৬ বিরোধী শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজস্থানের অশোক গেহলট, হিমাচলের সুখবিন্দর সিং সুখু, ছত্তিশগড়ের ভুপেশ বাঘেল, তামিলনাড়ুর এম কে স্ট্যালিন, বিহারের নীতীশ কুমার এবং ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনও উপস্থিত ছিলেন। এর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ আবদুল্লাহ, পিডিপির মেহেবুবা মুফতি, আরজেডির তেজস্বী যাদব, বামেদের তরফে সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি এবং সিপিআইয়ের ডি রাজা। উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা কমল হাসানও। এছাড়া রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা তো ছিলেনই। সবমিলিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের মঞ্চকে হাতিয়ার করে নরেন্দ্র মোদিকে বার্তা দিল বিরোধী শিবির।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের তরফে সরাসরি বিজেপির বিরোধী মতাদর্শে বিশ্বাসী সব বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তালিকায় বাদ রাখা হয়েছিল আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির কেসিআরকে। কারণ এই দুই দলের সঙ্গেই একাধিক রাজ্যে সরাসরি লড়াই রয়েছে হাত শিবিরের। মায়াবতীর অবস্থান নিয়ে ধন্দ রয়েছে, তাই তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এই বিরোধী জোটের মঞ্চে।
Be the first to comment