কোনও জায়গায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে গেলে সেখানে ইচ্ছেমতো আসনে বসা যায় না, আমন্ত্রকদের ঠিক করে দেওয়া আসনেই বসতে হয়। দিন কয়েক ধরে লাগাতার বিতর্ক ও প্রশ্নের মুখে পড়ার পরে এমনটাই ব্যাখ্যা দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু।
ইসলামাবাদে ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সিধু। সেখানেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট মাসুদ খানের পাশে বসেছিলেন তিনি। দু’জনের পাশাপাশি বসা সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হতেই বিতর্কের বন্যা বয়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে, বিদেশি অভ্যাগতদের সারিতে না বসে মাসুদ খানের পাশে বসার মানে কী! শুধু তা-অ নয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে জড়িয়ে ধরতেও দেখা যায় সিধুকে। ফলে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। যথারীতি আক্রমণের অস্ত্র শানায় বিজেপি। জানায়, এটা অপরাধের থেকে কম কিছু নয়।
সিধু অবশ্য স্পষ্ট জানান, কোথাও অতিথি হিসেবে গিয়ে বসার জায়গা নিজে নিজে ঠিক করা যায় না। নির্ধারিত আসনেই বসতে হয়। কামার জাভেদকে আলিঙ্গন করার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “কেউ যদি নিজে থেকে আমার পাশে এসে বসেন, বলেন যে আমাদের সংস্কৃতি অভিন্ন, আন্তরিক ভাবে নানা বিষয় আলোচনা করেন, তা হলে আমি কী করব? সৌজন্য না দেখানোটা তো অভব্যতা!”
শুধু বিজেপি নয়, সমালোচনা এসেছে কংগ্রেসের তরফেও। জম্মু ও কাশ্মীরের কংগ্রেস প্রধান আহমেদ মীর বলেন, “সিধু এক জন দায়িত্ববান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি কেন এমন করলেন সেটা তিনিই বলতে পারবেন, তবে এই পরিস্থিতি এড়াতে পারতেন তিনি।”
Be the first to comment