শিলিগুড়িতে উদ্ধার ৩ কোটি টাকার সোনা, ধৃত ২

Spread the love
পাচারের আগে উদ্ধার হল প্রায় ১০ কেজি সোনা। গতরাতে শিলিগুড়ির ঘোষপুকুর বাইপাস থেকে সোনা সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা। আজ ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল অভিযানে নামেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা। শিলিগুড়িকে ব্যবহার করে বিহার নম্বরের গাড়িতে সোনা পাচার হবে বলে খবর ছিল। সেই মতো গোয়েন্দা আধিকারিকরা কাল বিকেল থেকে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার গোয়ালটুলি মোড়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত ১২টা নাগাদ ওই নির্দিষ্ট নম্বরের গাড়িটি পৌঁছালে আধিকারিকরা গাড়িটি আটকান। গাড়ির ভিতরে থাকা দু’জনকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে সোনা পাচারের কথা জানতে পারেন। এরপর তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির সিটের নিচ থেকে মোট ১০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। এক একটির ওজন এক কেজি। সোনা উদ্ধারের পর দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের জেরা করে আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বিদেশি মার্কিং ওই ১০ কেজি সোনা ইন্দো- ভুটান সীমানা ফুনসিলিং দিয়ে জয়গাঁ হয়ে বিহারে পাচারের ছক ছিল। ফুনসিলিংয়ের একটি হোটেলে ভুটানের নাগরিকদের হাত থেকে সোনার বিস্কুটগুলি নিয়েছিল ধৃত ২ জন। প্রাথমিক তদন্তের পর আধিকারিকদের অনুমান, ধৃতদের আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের আইনজীবী ত্রিদীব সাহা বলেন, ধৃতদের নাম সৌরভকুমার জৈন এবং দিলীপ কুমার। দু’জনের বাড়িই বিহারে। তাদের কাছে থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলিতে সুইৎজ়ারল্যান্ড ও ভুটানের মার্ক রয়েছে। যার আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রায় ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ২৭ জুন NJP স্টেশন থেকে ২ কেজি চোরাই সোনা সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা। এর আগে ১ জুন ৩২ কিলো সোনা উদ্ধার হয়। কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ সালে DRI মোট ৪৩০ কেজি সোনা ও সোনার অলংকার উদ্ধার করেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*