দক্ষিণবঙ্গে কার্যত ভরাডুবি হলেও উত্তরে গড় বাঁচাতে কিছুটা হলেও সক্ষম হয়েছে বিজেপি। একুশের ভোটে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল শিলিগুড়ি মডেল। যে অশোক ভট্টাচার্যের হাত ধরে রাজনীতিতে আসা, সেই অশোককেই হারালেন সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসা শংকর ঘোষ। শেষ পাওয়া খবরে, সমতলের ভোটে প্রায় ৩৩ হাজারের ভোটে লিড নিয়ে ফেলেছেন শংকর। যে ব্যবধান আর কম হওয়া সম্ভব নয়। ফলে তিনি শিলিগুড়িতে জয়ী হয়ে বিধানসভায় আসতে চলেছেন বলা যায়। একই সঙ্গে ‘গুরু’ বনাম ‘শিষ্যের’ লড়াইয়ে শিষ্যেরই জয় হয়েছে।
রবিবার সকালে ব্যালট বাক্স খুলে গণনা শুরু হওয়ার পর এগিয়ে ছিলেন শংকর। তারপর ইভিএম খোলার পর থেকে ক্রমশ ব্যবধান বাড়াতে শুরু করেন তিনি। এক এক রাউন্ড গণনা হতে থাকে, এবং ব্যবধান বাড়াতে থাকেন শংকর। মানুষের মন বুঝতে পেরে বেলা বাড়তেই গণনা কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে যান অশোক ভট্টাচার্য। ফলে শংকরের জয় যে কেবল সময়ের অপেক্ষা, সেটাও স্পষ্ট হতে শুরু করে। শংকর কত ভোটের ব্যবধানে জিতলেন তা কিছুক্ষণের মধ্যেই জানানো হবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বামেদের গড় হিসাবে পরিচিত শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানও দখল করতে পারেননি অশোক ভট্টাচার্য। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তৃণমূলের জয়প্রকাশ মিশ্র। ফলে একুশের নির্বাচন যে বাম-কংগ্রেস ও তৃতীয় শক্তিকে বাংলার রাজনীতিকে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলল, তাও এক প্রকার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এই নির্বাচনে।
Be the first to comment