শিলিগুড়িতে পর্যটন দপ্তরের অফিসের নাকের ডগায় রয়েছে একাধিক স্ট্যান্ড। সিকিম ও দার্জিলিং ছাড়াও উত্তরবঙ্গের অন্যত্র ঘুরতে আসা পর্যটকরা সেই স্ট্যান্ডে গেলেই চড়া ভাড়া হাঁকছেন গাড়ির চালক ও ব্যবসায়ীরা। পর্যটনের ভরা মরশুমে বাধ্য হয়েই চড়া ভাড়া দিয়ে গাড়ি নিতে হচ্ছে পর্যটকদের। যদিও এনিয়ে হেলদোল নেই পর্যটন দপ্তর বা পরিবহন দপ্তরের।
শিলিগুড়ির প্রধাননগর এলাকায় মৈনাক টুরিস্ট লজেই রয়েছে পর্যটন দপ্তরের অফিস। সেখানেই বসেন দপ্তরের মন্ত্রী গৌতম দেব। কিছুটা দূরে প্রধাননগর থানা। অথচ সেখানেই চড়া ভাড়া নেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের কাছ থেকে। পর্যটকরা এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেও প্রশাসনের
শিলিগুড়ির অন্যতম টুর অপারেটর ও সিকিমের পর্যটন দপ্তরের উপদেষ্টা রাজ বসু বলেন, “অন্তত ৮০০-র উপর অভিযোগ এসেছে। কোনও সুরাহা হয়নি।” টুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল বলছেন, “সমস্যার কথা জানি। কিন্তু কাকে বলব ? প্রতি বছর একই চিত্র।”
অভিযোগ, অনেক পর্যটক নেট বুকিংয়ে ন্যায্য ভাড়ায় গাড়ি ভাড়া করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা শিলিগুড়ি এলে তাঁদের কাছে গাড়ি পাঠানো হচ্ছে না। তার বদলে অতিরিক্ত ভাড়ায় সেই গাড়িগুলি অন্য পর্যটক তুলছে। পুলিশের নজরদারির অভাবে বাড়তি ভাড়া ছাড়া গাড়ি যাবে না বলে জানিয়ে দিচ্ছেন গাড়ির চালক ও মালিকরা।
পর্যটকদের অভিযোগ, সিকিম ও দার্জিলিং ছাড়াও কালিম্পং, লাভা, লোলেগাও সহ পাহাড়ের নানা পর্যটনকেন্দ্রে যেতে সরকারি পরিবহনের গুটিকয়েক বাস ছাড়া ছোটো গাড়িই ভরসা পর্যটকদের। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দ্বিগুন, তিনগুন দর হাঁকা হচ্ছে। তাদের আরও অভিযোগ, পুলিশি নজরদারি ও হেল্পডেস্ক কার্যকর হলেই অসাধু ব্যবসায়ীদের রোখা যেত। কিন্তু কিছুই চোখে পড়ছে না। ফলে তারা বাধ্য হচ্ছেন বাড়তি ভাড়া দিতে।
পর্যটন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সম্রাট চক্রবর্তী বলেছেন, “বিষয়টি পরিবহন দপ্তরের। পুজোর ছুটি চলছে বলে পর্যটন দপ্তর বন্ধ রয়েছে। তবে ই-মেলে কোনও অভিযোগ অন্তত এখনও পাইনি।” পরিবহন দপ্তরের অন্য এক কর্তা বলেন, “অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব।”
Be the first to comment