ছটপুজোর লুঠের নারকেল কুড়োতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের। বৃহস্পতিবার সকালে মর্মান্তিক ওই ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাইকেল মধুসূদন কলোনি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রঞ্জন মণ্ডল (৩৫)। তিনি ফুলবাড়ির হরিপুর নীচপাড়ার বাসিন্দা। প্রত্যেকে দিনের মতো এদিন ভোরে রঞ্জন মাইকেল মধুসূদন কলোনি ছটঘাটে ঘুরতে যায়।
পুজো শেষে অন্যান্যদের মতো নারকেল কুড়োতে জলে নামেন তিনি। নারকেল কুড়োতে গিয়ে আচমকাই জলে ডুবে যান। অনেকক্ষণ পুকুর পাড়ে তাঁর পরণের কাপড়, জুতো পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির লোকের সন্দেহ হয়। তারপর খোঁজ শুরু হয়। উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে মাইকিংও করা হয়। শেষে খুঁজে না পাওয়ায় এলাকাবাসীরা পুকুরে খোঁজ শুরু করেন। পরে যুবকটিকে পুকুর থেকে স্থানীয়দের চেষ্টায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে দ্রুত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। এলাকাবাসী প্রতিমা বিশ্বাস বলেন, “সকালে ছটপুজোর সময় ঘোরাঘুরি করছিল। তারপর নারকেল কুড়োতে জলে নামে। সেই সময় জলে ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পর পুকুর থেকেই তার দেহ উদ্ধার হয়।”
আরেক এলাকাবাসী পঙ্কজ গুপ্তা বলেন, “মাইকিং হতেই আমরা কয়েকজন জলে নেমে খুঁজতে শুরু করি। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পরে তাঁকে উদ্ধার করি। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানায়।” পরিবারে বাবা, মা নেই রঞ্জনের। দাদা-বৌদি থাকলেও একাই দিনমজুরের কাজ করে জীবনযাপন করতেন। মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও পাড়াতে বরাবরই ভাল ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিল রঞ্জন মণ্ডল। তাঁর মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Be the first to comment