দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। খবর পেয়ে এল দমকল। জল দেওয়ার সময়ে বিপত্তি। পাম্পই কাজ করছে না। দ্বিতীয় ইঞ্জিন আসার আগে অবশ্য আগুন নিভে গেছে। স্থানীয়রা এদিক-ওদিক করে জল জোগাড় করেন। আগুন নেভান। আর দমকলকর্মীরা ? শান্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ! তবে, এলাকাবাসীর ক্ষোভ থেকে বাঁচতে পারেননি।
শিলিগুড়ির সুকান্তপল্লি। এলাকাটা এমনিতে ঘিঞ্জি। আশপাশে অনেক বাড়ি। দোকানপাট। গতকাল সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ পরিতোষ মণ্ডলের বাড়ি থেকে চিৎকার শোনা যায়। “আগুন, আগুন” বলে চেঁচিয়ে ওঠেন বাড়ির সবাই। স্থানীয়রা ছুটে আসেন। প্রথমে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়েছিল। কাজ হয়নি। ফোন যায় দমকলে। দ্রুততার সঙ্গে আসেন দমকলকর্মীরা। জলের পাইপটা বের করেন। কিন্তু জল কোথায় ? মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে সবার। পাম্পই যে কাজ করেনি। পরে ফের একটি ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। এরমধ্যে স্থানীয়রা হাতে হাতে জল আনতে শুরু করেছেন। বাড়িটাকে অবশ্য বাঁচানো যায়নি। আগুন দ্রুত না নেভায় গোটা বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় ইঞ্জিন আসার পর দমকলকর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। দমকলকর্মীরা অভিযোগ মেনেও নেন। এক কর্মী বলেন, “হ্যাঁ, প্রথম ইঞ্জিনের পাম্পটি কাজ করেনি। দ্বিতীয় ইঞ্জিন আসে। তার আগেই আগুন নিভে যায়। মূলত স্থানীয়রাই নেভান।” তিনি আরও বলেন, “নতুন গাড়ি এটা। ১০ অক্টোবর বিধাননগর মার্কেটে মকড্রিল হয়। সেখানে এই গাড়ি কাজ করেছে। রোজ তিনবেলা চেকিংও হয়।” তারপরও যে কেন আসল সময়ে পাম্প ‘ধোঁকা’ দিল তা বুঝতে পারছেন না ওই দমকলকর্মী।
এদিকে, দমকলকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। পরে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ গিয়ে দমকলকর্মীদের উদ্ধার করেছে।
Be the first to comment