হাসপাতালে রয়েছে সার্জিকাল, গাইনি, CCU, ICU সহ একাধিক ওয়ার্ড। প্রতিদিন হাজারখানেক রোগী হাসপাতালে আসেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু, সেই হাসপাতালেই রয়েছে মাত্র সাতটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। রয়েছে মাত্র চারটি আপৎকালীন দরজা কিন্তু, সেগুলি তালাবন্ধ থাকে। তাই, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্য়বস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গতকাল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের MCH বিল্ডিংয়ের ভিতরে ওষুধের স্টোরে আগুন লাগে। শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। স্টোররুমের কাছাকাছি কোনও জায়গা থেকে আগুন লেগেছিল বলে জানা যায়। প্রশ্ন ওঠে হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের জেলা হাসপাতালগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়েও।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে রয়েছে মেল ও ফিমেল সার্জিকাল ওয়ার্ড, গাইনি বিভাগ, NICU, PICU, CCU, ICU সহ একাধিক ওয়ার্ড। তবে এই হাসপাতাল ভবনের জন্য বরাদ্দ মাত্র সাতটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। যার মধ্যে চারটি ছোট ও তিনটি বড় মাপের। এর মধ্যে দু’একটির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অন্যদিকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের তিনটি আপৎকালীন দরজা তালাবন্ধ। একটি খোলা থাকলেও, দিনের বেশিরভাগ সময় সেটাও তালাবন্ধ থাকে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের দু’একটি জায়গায় আপৎকালীন সাইনবোর্ড লাগানো থাকলেও সেখানে কোনও বেরোনোর রাস্তাই নেই।
তবে, এবিষয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার কোনও মন্তব্য করতেই রাজি হননি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রলয় আচার্য্য বলেন, “বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছি। ইলেকট্রিক্যাল ও অন্যান্য কাজ প্রায় শেষের পথে। একমাসের মধ্যেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এবিষয়ে সুপারের সঙ্গে কথা বলব।”
Be the first to comment