১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে, হকারদের জন্যে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

Spread the love

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি তলানিতে। ক্রমশ বাড়ছে লকডাউন। ভবিষ্যৎের কথা ভেবে অনেকেই আতঙ্কিত। এই অবস্থায় আত্মনির্ভর ভারত তৈরির স্বপ্ন দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্যাকেজের প্রথমদিনে বেসরকারি ক্ষেত্রে পিএফ কমানো থেকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের কথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ বুধার ফের একবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন নির্মলা সীতারমণ।

যেখানে পরিযায়ী শ্রমিক, হকার, ক্ষুদ্র চাষী ও কর্মসংস্থানের জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা করলেন নির্মলা। এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থা থেকে ন্যুনতম বেতন দেশজুড়ে একই হওয়ার প্রতি জোর দেন অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবে একগুচ্ছ ঘোষণার কথা জানালেন তিনি। দুমাস বিনামূল্যে খাদ্য শস্য এবং চাল, ডাল দেওয়ার ঘোষণা কেন্দ্রের। শুধু পরিযায়ী শ্রমিকই নয়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং হকারদের জন্যেও একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

নির্মলা বলেন, “লকডাউনে ফলে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকারদের। তাই হকারদের জন্য সরকার ভেবেছে এবং সহজে ঋণের ব্যবস্থা করেছে।’ একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ভেন্ডার এবং হকারদের ঋণ দিতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ঠেলা গাড়ি নিয়ে যারা বিক্রি করেন কিংবা হকারদের ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ২ শতাংশ হারে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে। এর ফলে দেশের ৫০ লক্ষ হকার উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্যাকেজ ঘোষণার দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ঘোষণা করলেন পরিয়ায়ী শ্রমিকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় এই থাকার ব্যবস্থা করা হবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন, এজন্যে তৈরি করা হচ্ছে রেন্টাল হাউজিং স্কিম। একানে কম ভাড়ায় থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এই সুবিধা পাবেন শহরের দরিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারীরাও।

এজন্য সরকারী অনুদানে তৈরি বাড়িগুলিকে ব্যবহার করা হতে পারে। পিপিপি মডেলে তৈরি বাড়িগুলিকে কাজে লাগানোর ভাবনা রয়েছে সরকারের। সীতারমণ জানিয়েছেন বিভিন্ন শিল্পসংস্থাকে উৎসাহ দিয়ে কম খরচে হাউসিং কমপ্লেক্স বানানো পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। হাউজিং সেক্টরে ৭০ হাজার কোটি টাকা অনুদানের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে শ্রমিকদের সাহায্যের বার্তা দিলেন নির্মলা সীতারামন। আগামী দু’মাস সব পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার কথা বলেন তিনি। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে চাল বা গম ও এক কেজি ডাল দেওয়া হবে। বিপিএল কার্ড না থাকলেও এই খাবার বিনামূল্যে পাবেন তাঁরা।

সীতারামন আরও জানিয়েছেন, ‘আট কোটি পরিযায়ী শ্রমিক বিনামূল্যে খাবার পাবে। সব খরচ বহন করবে কেন্দ্র। পুরো স্কিমের জন্য খরচ হবে ৩৫০০ কোটি টাকা। সেই খাবার রাজ্য সরকারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। এজেন্সি তৈরি করে রাজ্য সরকারগুলিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করতে হবে।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*