এবার মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য তৈরি হলো স্মার্ট ড্রেস

Spread the love
রাস্তাঘাটে বেড়িয়ে প্রতিনিয়ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় মহিলাদের। সহ্য করতে হয় অনেক অভব্য আচরণ। সঙ্গে উপরি পাওনা অশালীন ভাবে পুরুষদের স্পর্শ। ভিড় বাস হোক, কিংবা অটো, অথবা ভিড়ে ঠাসা মেট্রো—-রেহাই নেই কোথাও। সব মহিলারাই এটা শিকার করবেন যে, জীবনে অন্তত একবার এ হেন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁদের। আপত্তিকর স্পর্শে শিউরে উঠতে হয়েছে।
কিন্তু দিনে কতবার মেয়েদের এমন আপত্তিজনক স্পর্শের শিকার হতে হয়? এই পরিমাণ নির্ধারণের জন্যই তৈরি হয়েছে ‘স্মার্ট ড্রেস’। গ্লিটার লাগানো চকচকে পার্টি ওয়্যারের মতো এই ড্রেসে লাগানো রয়েছে অত্যাধুনিক সেনসর। যার ফলে কোনও পুরুষ এই পশাক পরিহিত মহিলাকে ছুঁলেই তা ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে একটি নির্দিষ্ট সেনসরে। আর সেখানেই রেকর্ড হয়ে থাকবে সমস্ত ডেটা।
সম্প্রতি ব্রাজিলে তৈরি হয়েছে এই ‘স্মার্ট ড্রেস’। তিনজন মহিলা এই পোশাক পরে গিয়েছিলেন একটি নাইট পার্টিতে। উদ্দেশ্য ছিল এটাই জানা যে, দিনে অন্তত কতবার একজন মহিলাকে আপত্তিকর স্পর্শের মুখোমুখি হতে হয়। তবে সমীক্ষার ফল কিন্তু ভয়াবহ। যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে তাতে একবার বুক কাঁপতে বাধ্য। ব্রাজিলের ওই নাইটক্লাবের পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী এক ঘণ্টায় কমপক্ষে চল্লিশবার আপত্তিজনক স্পর্শের সম্মুখীন হয়েছিলেন ওই তিন মহিলা।
স্মার্ট ড্রেসের নিয়ন অনুযায়ী, যখনই কেউ পোশাক পরিহিতাকে আপত্তিজনক ভাবে ছোঁবেন তখনই ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে সিগন্যাল চলে যাবে একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে। আর সেখানেই রেকর্ড হয়ে থাকবে সব ডেটা। ব্রাজিলের এই সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, ৪ ঘণ্টায় ১৫৭ বার আপত্তিকর স্পর্শ পেতে হয়েছে ওই তিন মহিলাকে। অতএব হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ৪০ বার এই ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই সমীক্ষার একটি ভিডিও। বাস্তব যে কতোটা রূঢ় তা বোঝানোর জন্যই প্রকাশ্যে আনা হয়েছে এই ভিডিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন পুরুষরা। প্রতিনিয়ত একজন মহিলাকে যে এতোটা অসহায়তার শিকার হতে হয় তা বোধহয় আন্দাজ করেননি কেউই।
তবে জানা গিয়েছে, এখনই বিক্রি হচ্ছে না এই পোশাক। তবে মহিলাদের ডীম্যান্ড অনুযায়ী হয়তো খুব জলদিই বাজারে আসবে এই ‘স্মার্ট ড্রেস’। ব্রাজিলের দু’টি কোম্পানি একসঙ্গে বানিয়েছে পোশাক। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সব দেশের মহিলারাই চাইছেন এই পোশাক যেন পাওয়া যায় তাঁদের দেশেও। কবে বাজারে ‘স্মার্ট ড্রেস’ আসবে সেটাই এখন দেখার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*