‘ঋতুমতী অবস্থায় মন্দিরে না যাওয়াই উচিত’- শবরীমালা বিতর্ক উসকে দিলেন স্মৃতি ইরানি

Spread the love
প্রার্থনা করার অধিকার সকলের থাকলেও, মন্দির নোংরা করার অধিকার তো কারও নেই। তাই ঋতুমতী অবস্থায় মন্দিরে না যাওয়াই উচিত।– এমনই মন্তব্য করে শবরীমালা-বিতর্কে নতুন উস্কানি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তাঁর কথায়, ”আপনি কি কখনও রক্তে ভেজা স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে বন্ধুর বাড়ি যান? তা হলে ভগবানের কাছে ওই অবস্থায় কেন যাবেন?”
মঙ্গলবার মুম্বইয়ের একটি কনফারেন্সে বক্তৃতা রাখার সময়ে স্মৃতি এই মন্তব্য করতেই ফের বিতর্কের ঝড় দেশ জুড়ে। শবরীমালা-কাণ্ডে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে স্মৃতি জানান, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে আমার কিছু বলার নেই সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে। কিন্তু আমি মনে করি, পুজো করা আর মন্দির অপবিত্র করা এক নয়। এই দুইয়ের পার্থক্য আমাদের বোঝা উচিত, সম্মানও করা উচিত।”
কেরলের শবরীমালা মন্দিরে বহু বছর ধরে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। যাতে কোনও মহিলাই ঋতুমতী অবস্থায় ঢুকতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি কোনও মহিলাই সেখানে প্রবেশ করতে পারতেন না। বহু প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পরে, সম্প্রতি শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে যে ঋতুমতী মহিলারাও মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। কিন্তু তার পরেও সমাধান হয়নি সমস্যার। একের পর এক মহিলাকে বাধা দেওয়া হয়েছে মন্দিরে ঢুকতে। হয়েছে ধস্তাধস্তি। মন্দিরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের। এমনকী বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মন্দির।
এই পরিস্থিতিতে স্মৃতির মন্তব্য যেন আগুনে ঘি ঢালল! নিজের কথার সপক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি আরও বলেন, এক সময় তাঁকেও মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। জানান, মুম্বাইয়ে আন্ধেরির এক মন্দিরে তাঁকে প্রার্থনা করতে দেওয়া হয়নি অতীতে। পুজো দিতে ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন পুরোহিতের সঙ্গে। তিনি বলেন, ”আমি রাস্তায় দাঁড়িয়েই প্রার্থনা করেছিলাম।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*