পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে রবিবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আর সেখানেই ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারকে তুলোধনা করলেন স্মৃতি ইরানি। কখনও বাংলায়, কখনও হিন্দিতে মমতার সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন স্মৃতি।
তৃণমূল কংগ্রেসের ‘খেলা হবে’ স্লোগানকেও ফের একবার হাতিয়ার করে মমতাকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তিনি। স্মৃতির কথায়, ‘দিদি তুমি খেলা করেছ, কিন্তু এখন বাংলার মানুষ নিশ্চিত করেছে তৃণমূল ভাগাও, বিজেপি লাও, বাংলা বাঁচাও।’
সম্প্রতি বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া স্লোগান সামনে এসেছে, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। সেই স্লোগানকেও নিজের কটাক্ষের হাতিয়ার করে এদিন পাল্টা মমতার বিরুদ্ধেই টোপ দাগেন স্মৃতি ইরানি। তাঁর দাবি, কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকার বাংলার জন্য যে টাকা পাঠায়, সেই টাকাকেই নিজের নাম দিয়ে রাজ্যবাসীর কাজে লাগাচ্ছে তৃণমূল সরকার।
স্মৃতির আরও দাবি, ‘অদ্ভুত খেলা খেলেছেন দিদি, মানুষের জীবন, মহিলাদের সম্মান, গরিবের সঙ্গে। মোদী সরকার দিল্লি থেকে ২ টাকার চাল পৌঁছে দিচ্ছে বাংলায়, আর দিদি স্কিমের নাম পরিবর্তন করে চাল দিয়ে বলছে, আমি দিচ্ছি। শৌচালয় তৈরির ক্ষেত্রেও নিজের ছবি বসিয়ে দিয়েছেন। কাজ করছেন মোদী, আর ফটো তুলছেন দিদি। আর এই খেলা চলবে না।’
পাশাপাশি স্মৃতির তোপ, ‘দিদিকে বলতে চাই, তোমার খেলা দেখেই এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বলছে পিসি-ভাইপো হটাও, বিজেপি লাও। বাংলায় যেখানেই যাচ্ছি, বলছে জয় শ্রীরাম। বাংলার ইতিহাসে প্রথমবার মা দুর্গার বিসর্জন হতে দেয়নি দিদি। প্রথমবার সরস্বতী পুজো দিতে দেয়নি। রামনবমীর মিছিলের জন্যও গরিব মানুষকে হাত জোর করে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। এই খেলা আর চলবে না।’
স্মৃতির পাল্টা প্রশ্ন, ‘বাংলা কোন মেয়েকে ভোট দেবে? যে দুর্গাপুজোর ভাসান করতে দেন না, সরস্বতী পুজো করতে দেন না, রামনবমীর মিছিলে যার আপত্তি? আর নির্বাচনের আগে তিনি নিজেই এখন চণ্ডীপাঠ করছেন। বাংলার মানুষ বলছে, আর খেলা নয়। আসল পরিবর্তন চাইলে ২৭ তারিখ পদ্মভুলে ভোট দিতে হবে।’
Be the first to comment