রত্না চট্টোপাধ্যায় ষড়যন্ত্র করছেন। পুলিশকে সেটা আগেই জানিয়েছেন তিনি। দুষ্কৃতীরাও হামলা চালাতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা। এই অবস্থায় শনিবার রাত থেকে তাঁর নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার প্রতিবাদ জানিয়ে, উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি করে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে মেইল করলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়। Z ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়। এমন কী গতবছরের ২২ নভেম্বর মেয়র এবং মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরও তিনি একই নিরাপত্তা পেতেন। কিন্তু পরে তাঁর সিকিউরিটি জেড ক্যাটেগরি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় Y প্লাস ক্যাটেগরিতে।
১৪ অগাস্ট BJP-তে যোগ দেন শোভনবাবু ৷ আর গতকাল রাতে কলকাতা পুলিশ প্রাক্তন মেয়রের নিরাপত্তায় নিযুক্ত পুলিশকর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে ৷ এই নিয়ে সরব হয়েছেন শোভন ৷ কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে করা মেল করে সে কথাই জানিয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ১৯৯৫ সাল থেকেই আমি নিরাপত্তা পাই। মন্ত্রী এবং মেয়র হিসেবে আমি এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি যা অনেকেরই বিপক্ষে গেছে। তৈরি হয়েছে জীবনের ঝুঁকি। সেই সূত্রেই আমাকে Z ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হত। এমন কী মেয়র এবং মন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দেওয়ার পরও আমার সিকিউরিটি কমানো হয়নি। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাতকারণে হঠাৎই আমার সিকিউরিটি কমিয়ে Y প্লাস ক্যাটেগরি করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার ও পুলিশ জানে, দুষ্কৃতী ছাড়াও আমার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় (তাঁর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছি) আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন । এই অবস্থায় গতরাত ১১টা ১৫ নাগাদ আমার নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়া হয় ।
শোভনের অভিযোগ, আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ফলেই রাজ্য সরকারের প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে আমার নিরাপত্তা কমানো হয়েছে বলে মনে হয়। যদিও সরকারের কাছে সবাই সমান হওয়া উচিত। চিঠিতে শোভন টেনে এনেছেন রায়চকের ঘটনাও । সেটাকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, তাঁর উপর যে কোনও সময় আক্রমণ হতে পারে । তিনি লিখেছেন, আমি আজ সন্ধ্যা সাতটায় কলকাতায় ফিরছি । তখন থেকে আমার এবং আমার সঙ্গীর ( বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়) উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হোক। যদি একজন MLA শহরে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হতে পারে ৷ সেই সূত্রেই তিনি আগের মতই নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন ।
Be the first to comment