দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন ৷ আর সোমবার রাজ্য বিজেপি দফতরে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বামেদের থেকেও ভয়ঙ্কর তৃণমূল কংগ্রেস ৷ একই সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ক্রমেই পথ হারাচ্ছে তৃণমূল ৷ এদিন কলকাতার রাজ্য বিজেপি দফতরে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য শোভনের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁর বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের দু’পাশে বসে শোভন-বৈশাখী দু’জনেই আক্রমণ করলেন তৃণমূলকে ৷ আর দুই নতুন সহযোদ্ধা যাতে নিশ্চিন্তে-নিরাপদে কাজ করতে পারেন, তাঁর আশ্বাস দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি ৷ আজকের সাংবাদিক বৈঠকে শোভন চট্টোপাধ্যায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসকেই তাঁর নিশানা করেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, আমি ২২ বছর কলকাতা পৌরসভার দায়িত্ব সামলেছি। কিন্তু দলত্যাগের আগের ৮ মাস আমি দলের কোনও কর্মসূচিতেই ছিলাম না। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে ৩৪ বছর মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টি যা অত্যাচার করেছে, তৃণমূল কংগ্রেস তা মাত্র ৮ বছরেই করে দেখিয়েছে। বামেদের থেকেও ভয়ঙ্কর তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি কর্মীরা তাদের জীবন বিপন্ন করে রাজনীতি করছেন।
তবে বিজেপিতে যোগ দিলেন কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে শোভনবাবু বলেন, দিলীপদা ও জয়প্রকাশ মজুমদার আন্তরিকতার সঙ্গে আমাকে বিজেপিতে যোগ দিতে বলেন। আমি নতমস্তকে বলছি, যে ভাবে বিজেপি চাইবে, আমি সে ভাবেই সহযোগিতা করবো। বাংলাকে তৃণমূল মুক্ত করার কাজ করবো। বিজেপি যেভাবে চাইবে, সে ভাবেই মাঠে-ময়দানে কাজ করবো।
তবে বিজেপি রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে বৈশাখী বলেন, যখন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সংবর্ধনা, সেখানে আমার আসার দরকার আছে বলে মনে করিনা। সেজন্য না আসার সিদ্ধান্ত নিই। পরে তালিকা থেকে আমার নাম বাদ যাওয়া নিয়ে জয়প্রকাশদা বলেন অনিচ্ছাকৃত ভাবে ভুল হয়েছে, তাই এসেছি। আমার গোঁসা ধরে রেখে বসে থাকা শোভনদার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ম্লান হয়ে যেতে পারত, তাই এসেছি।
শুনুন!
Be the first to comment