সোনার বাংলা গড়তে গিয়ে আপনি নাকি একটা সোনার গোপাল তৈরি করেছেন। আর সেই আপনার সর্বনাশ করেছে। সোমবার, ১১ ডিসেম্বর সেলিমপুরে বিজেপির হয়ে প্রথম জনসভায় একথা বললেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগের তীর যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে সেকথা বলাই বাহুল্য।
সোমবার দক্ষিন কলকাতার গোলপার্ক থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল শুরু হয়। একটি সুদৃশ্য ট্যাবলো করে জনস্রোতে ভেসে গোলপার্ক থেকে সেলিমপুর আসেন শোভন-বৈশাখী। সেখানে বিজেপির তরফে তাঁদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। শোভনবাবু জোর গলায় বলেন একুশে বাংলায় তৃণমূল সরকার থাকবে না। সরকারে আসবে বিজেপি। সোনার বাংলা তৈরি হবে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বলছেন সোনার বাংলা তৈরি হয়ে গিয়েছে। আমরা তো জানি বাংলায় গরু চোর, কয়লা চোর বেশি হয়ে গিয়েছে। এব্যাপারে অভিষেকের নাম না করে ভাইপো বলে তাঁকে দুর্নীতিতে যুক্ত বলে অভিযোগ আনেন শোভন। বলেন, আমার কষ্ট হয়, যন্ত্রণা হয় আমি ওই দলের বা ওই মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলাম বলে। তিনি বলেন মনে রাখবেন যারা তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিলেন তাঁদের হাতেই তৃণমূলের নিধন হবে।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শপথ নিয়েছি সদ্য, ঘরে ঘরে পদ্ম। বৈশাখী বলেন, নবান্নের ১৪ তলায় বসে আমাকে মিটিয়ে দেওয়ার (রাজনৈতিক ভাবে শেষ করে দেওয়া) ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। বিজেপি পরিবার আমাকে সম্মান দিয়েছে। ১৪ তলা ও ভাইপো ভয় পেয়েছে, তাই আমাদের উপর আঘাত হানছে। উন্নয়ন আটকে আছে হরিশ চ্যাটার্জি স্টীটে। আপনাকে ও ভাইপোকে আমরা রাজনৈতিক ভাবে বাংলা ছাড়া করবো।
এদিন শোভন ও বৈশাখী নাম না করে দুজনেই ফিরহাদ হাকিমকে নাম না করে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন। শোভনবাবু বলেন, যারা ম্যাপ থেকে কাশ্মীর বাদ দেন সেই মিনি পাকিস্তান মন্ত্রীর মুখে আবার বড় বড় কথা।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে করা সুজাতা খাঁয়ের কটূক্তির জবাবও দেন তিনি। বৈশাখী বলেন, যিনি পদ পাওয়ার লোভে নিজের স্বামীর বিপরীত দল করেন, তাঁর কথা যত কম আলোচনা করা যায় ততই ভালো।
Be the first to comment