খড়দহে উপ নির্বাচনের ঠিক আগেই শুরু গণ্ডগোল। উপ নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সামনেই শুরু হল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল বচসা। আজ শনিবারই ছিল তাঁর প্রচারের প্রথম দিন। এ দিন খড়দহ বাজারে একটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করতে গিয়েছলেন শোভনদেব। আর তাঁকে স্বাগত জানাতে গিয়েই শুরু হয় বচসা। দুই দলের মধ্যে সেই গণ্ডগোল হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
এদিন সকালে উপ নির্বাচনের প্রচারের প্রথম দিন ছিল খড়দহে। এ দিন দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনে আসেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সাংসদ সৌগত রায় ছাড়াও এ দিন উপস্থিত ছিলেন এলাকার একাধিক তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। প্রত্যেকেই শোভনদেবকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে আসেন। কে আগে স্বাগত জানাবে, এই নিয়ে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। প্রথমে বচসা, পরে হাতাহাতি। কর্মীদের থামানোর চেষ্টা করেন সৌগত রায়। যদিও তৃণমূল নেতাদের দাবি, কোনও সংঘর্ষ নয়, আদলে খড়দহের মানুষের উৎসাহের জন্যই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।
এক তৃণমূল কর্মী জানান, শোভনদেবকে দেখার জন্য এত ভিড় যে ভিতরে প্রবেশ করতেই পারছেন না অনেক তৃণমূলকর্মী। কর্মীদের দাবি, তৃণমূলের প্রথম নির্বাচিত বিধায়ক শোভনদেবকে পেয়েছে খড়দহের মানুষ। কাজল সিনহার মৃত্যুতে যে যন্ত্রণা পেয়েছে এখানকার মানুষ, তা কাটিয়ে উঠে শোভনদেবকে পেয়ে কিছুটা আশার আলো দেখছেন সবাই। তাই এ দিন উৎসাহী মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজ প্রথম দিন তাই এমন ভিড় হয়েছে। প্রত্যেকদিন তো এমনটা হবে না। কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে যাবে প্রচারের কাজে।’
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন কাজল সিনহা। ফল ঘোষণার আগেই করোনায় মৃত্যু হয় তাঁর। ফল প্রকাশের পর জানা যায়, তিনি জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই কেন্দ্র বিধায়ক শূন্যই থাকে। আগামী ৩০ অক্টোবর সেই কেন্দ্রে উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগে থেকেই কানাঘুষো শুরু হয়, খড়দহ থেকেই উপনির্বাচনে লড়াই করবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কারণ আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভবানীপুর আসনে জয়ী হয়েও আসন ছেড়ে দেন তিনি। পরে প্রয়াত কাজল সিনহার স্ত্রী জানিয়েছিলেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তাঁর দাদার মতো। প্রয়োজনে তাঁর হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারও করবেন তিনি। আপাতত প্রচার শুরু হয়ে গেল। শোভনদেব বিধায়ক হয়ে ফিরবেন কি না, উত্তর দেবে উপ নির্বাচনের ফলাফলই।
Be the first to comment