৩ ঘণ্টা পর উঠলো অবরোধ, সাসপেন্ড হতে পারেন সোদপুরের স্টেশন মাস্টার

Spread the love
একে ট্রেন দেরিতে চলে। তার উপর ভুল ঘোষণা’র ফলে বিপাকে যাত্রীরা। এই অভিযোগে শনিবার সকাল ১০ টা থেকে রেল অবরোধ শুরু হয়েছে শিয়ালদহ মেন শাখার সোদপুর স্টেশনে। ৩ ঘণ্টা পর ওঠে এই অবরোধ।
শুক্রবার পূর্ব রেলের তরফে ঘোষণা করা হয় শিয়ালদহ মেন শাখায় ইছাপুর ও ব্যারাকপুরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় সিগনাল বসানোর কাজ শুরু হবে। ফলে শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চার দিনে মোট ১৫৮ টি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে এই ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ আগে থেকে তাঁদের এই ব্যাপারে কোনও খবর দেননি পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
এর পরেও শনিবার সকাল থেকে নিত্যযাত্রীরা অভিযোগ করে ট্রেন দেরিতে চলছে। এ ছাড়া নাকি ভুল ঘোষণার ফলে ট্রেন ধরতে পারেননি অনেকে। একে অনেক ট্রেন বাতিল, তার মধ্যে কাজের দিনে ট্রেন দেরিতে চলায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। ফলে সকাল ১০ টা নাগাদ তাঁরা অবরোধ শুরু করেন সোদপুর স্টেশনে। লাইনের মধ্যে নেমে যান শয়ে শয়ে মানুষ। টিন, পিচের গাড়ি, বাঁশ প্রভৃতি দিয়ে আটকে দেওয়া হয় রেললাইন। মানুষও বসে পড়েন সেখানে।
ফলে সোদপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে ডাউন ব্যারাকপুর লোকাল ও আপ নৈহাটি লোকাল। এ ছাড়াও কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে পড়ে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন। ধীরে ধীরে অবরোধকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ট্রেনে বসা যাত্রীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় সোদপুর স্টেশনে। সোদপুরে অবরোধ হওয়ায় আগের ও পরের স্টেশন গুলিতে দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক ট্রেন। ফলে বিশাল সমস্যার মধ্যে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
কিন্তু দেড় ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও কোনও রেল আধিকারিক বা পুলিশের দেখা না মেলায় বিক্ষোভ চরমে ওঠে। ভাঙচুর চালানো হয় কেবিন রুম ও স্টেশনের বেশ কিছু জায়গায়। এমনকী ডিসপ্লে বোর্ডে ভাঙচুর করে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। প্রায় দু ঘণ্টা পর সেখানে হানা দেয় বিশাল পুলিশবাহিনী। সঙ্গে আসে র‍্যাফ। তারা গিয়ে অবরোধকারীদের তোলার চেষ্টা করে। পুলিশ আসায় কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন অবরোধকারীরা।
কিন্তু দু ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অবরোধ তোলা যায়নি। অবরোধকারীরা তাঁদের দাবি থেকে সরতে নারাজ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করছেন পুলিশ। কিন্তু এখনও আটকে ট্রেন। এক ইঞ্চিও নড়ছে না চাকা। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে বাস বা অন্য রাস্তায় গন্তব্যস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ফলে চাপ বাড়ছে লাগোয়া বিটি রোডে।
অবশেষে আড়াই ঘণ্টা পর বাঁধ ভাঙে অপেক্ষমান যাত্রীদের। ট্রেনের যাত্রীরাই লাইনে নেমে সরিয়ে দেন টিন, বাঁশ। পুলিশও অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয় লাইন থেকে। তারপর আপ- ডাউন দুই তরফেই ট্রেন ছাড়ে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ট্রেন পরিষেবা ফিরবে বলেই যাত্রীদের আশা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*