মাসানুর রহমান –
২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই জোর দিয়েছেন কৃষিজ ক্ষেত্রের উপর। নতুন সরকার চেষ্টা করেছে চাষযোগ্য জমিতে চাষ বাড়ানোর পাশাপাশি পতিত জমিকে সেচ যোগ্য করে তোলার।
সয়েল হেলথ কার্ড প্রকল্প কি?? জেনে নিন বিশদে
২০১৪-১৫ সালে সয়েল হেলথ কার্ড প্রকল্প চালু করা হয় কিছু বিষয়ের ওপর নজর রেখে সেগুলি হল=
১.প্রতি তিন বছরে সমস্ত কৃষককে সয়েল হেলথ কার্ড প্রদান করা।
২.ক্ষমতা উন্নয়নের মাধ্যমে মাটি পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি শক্তিশালী করা।
৩.মাটির উর্বরতা বিচার করে সেইমতো সার ব্যবহার করতে নিদান দেওয়া।
৪.মাটির পরীক্ষা নির্ভর পুষ্টির ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া তৈরী করা।
৪.পুষ্টির ব্যবস্থাপনার কাজে চাষিদের ও কর্মীদের তৈরী করা।
কৃষি দপ্তর এই প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়িত করে চলেছে। এই প্রকল্প দুবছরের চক্রে হয়ে থাকে।
২০১৫-১৭ সালের প্রথম চক্রে আনুমানিক ১৩ লক্ষ মাটির নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়। আনুমানিক ৪২ লক্ষ সয়েল হেলথ কার্ড, সঙ্গে শস্য বিশেষে পুষ্টি ও সার ও সঙ্গে অন্যান্য পরামর্শ সহ বিলি করা হয়ে গেছে। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ২৮.১৯ কোটি টাকা, যার ৪০ শতাংশই দেবে রাজ্য সরকার। ২০১৮-১৯ সালে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ৬.৫ লক্ষ মাটির নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করার। পাশাপাশি আরও ২৫ লক্ষ কার্ড বিলির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
Be the first to comment