আর্যতীর্থ-
ঘরের পুবদিকের জানলাটা রাত্তিরে খোলাই রাখি,
রবিবার ছাড়া।
আমার বালিশ আর বিছানা বেচারা,
সারাদিনমানে ওই সকালটুকুই হয় রোদ মাখামাখি,
আমারও ঘুমের চোখে জুটে যায় চুম্বন প্রথম আলোর ,
নাগরিক দিনের শুরুতে।
বালিশ জড়িয়ে আরো কিছুখন শুতে
মন চাইলেও, উঠতে হবেই। জীবিকারা বরাবর ভারী ঘুমচোর।
যদিও আমার এই ওঠার কারণ শুধু সেটা নয় মোটে,
চুপিচুপি বলি।
নতুন ভোরের মতো আলো করে গলি,
এসময় সে হেঁটে যাবে। মিস করে যেতে পারি সময়হোঁচটে।
সে হেঁটে যাবে, চোখ সুশীতল করা সুডৌল শাড়ি চুড়িদারে,
হাতে ব্যাগ নিয়ে।
দৃপ্ত ভঙ্গিমায় মনে হবে রাজপথ দিয়ে,
সাম্রাজ্ঞী চলেছেন, আনত প্রজার সারি পথের দুধারে।
ঘড়ি ধরে ছ’টা পনেরোর থেকে বড়জোর কুড়ি পারে হতে,
রবিবার বাদে।
বৃষ্টিতে কৌশলী ছাতা বাধ সাধে,
সুতরাং প্রার্থনা , মেঘেরা ব্যস্ত থাক প্রতিটা সকালবেলা অন্য কিছুতে।
জানলায় সকালের রাস্তা দেখতে থাকি ব্যাকুল নজরে,
ঈগলের চোখে।
ওই বুঝি রোদ্দুর গায়ে মেখে গলিতে সে ঢোকে,
প্রতিদিন চেয়ে থাকি, কখনো ভুলেও যদি দেখে সে ওপরে।
কখনো দেখে না সে, অনামিকা অনজরে হেঁটে চলে যায়,
কোথায় কে জানে!
কখনো যাই নি আমি তার সন্ধানে,
সেসব থাক না লেখা কল্পনা ছুঁয়ে থাকা বিমূর্ততায়।
Be the first to comment