কলেজ স্কোয়ারের পুজো। উত্তর কলকাতার অবশ্য শুধু উত্তর কলকাতাই বা কেন সারা কলকাতা তথা বাংলার ঐতিহ্যশালী পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এটি। জলাশয় ঘিরে অপূর্ব আলোর কারিকুরি, চোখ জোড়ানো সাবেক মাতৃ মূর্তি, নান্দনিক প্যান্ডেল সবকিছু মিলিয়ে কলেজ স্কোয়ারের দুর্গা পুজো মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী রেখাপাত করে।
পুজোর মূল উদ্যোক্তা বলতে আমরা দুজনের নাম বুঝতাম। একজন প্রয়াত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, আরেকজন তাঁরই বন্ধু প্রতিম কংগ্রেস নেতা বাদল ভট্টাচার্য। বন্ধু বিয়োগে খানিকটা বিমর্ষ বাদলবাবু। সোমেনবাবুর প্রয়াণে ক্লাব তাঁকে নিয়ে করেছে স্মরণ সভা। পুজোতেও তাঁর নামে একটি মঞ্চ করার ইচ্ছে আছে, বললেন পুজো কমিটির সেক্রেটারি বিকাশ মজুমদার।
অগণিত কালো মাথার ভিড় সামলাবেন কী করে? এই প্রশ্নের উত্তরে বিকাশবাবু জানান, ২৫ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পুজো কমিটিগুলোর বৈঠকের পর গাইডলাইন ঠিক হবে। তারপরেই আমরা এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো। এখনও পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো খোলামেলা মণ্ডপ করবো। তবে যাই করি না কেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলেই পুজো করবে কলেজ স্কোয়ার, বললেন ক্লাব উদ্যোক্তারা। তিনদিক খোলা মণ্ডপের অর্ডারও দেওয়া হয়েছে। মায়ের মূর্তির ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করতে চান না তাঁরা। আর যে আলোর খেলার জন্য কলেজ স্কোয়ার বিখ্যাত সেক্ষেত্রেও কাটছাঁটে অনীহা উদ্যোক্তাদের।
এখন ২৫ তারিখের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে তাঁরা সবাই। তবে সোমেন মিত্র বিহীন কলেজ স্কোয়ারে আলোর রোশনাই যতই থাকুক না কেন উদ্যোক্তাদের মনে সোমেন মিত্রের প্রয়াণে থাকবে খানিকটা বিষাদের অন্ধকার।
Be the first to comment