মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস সভানেত্রী। নিজের বাসভবনে মল্লিকার্জুন খাড়গে, আহমেদ পটেল ও এ কে অ্যান্টনির সঙ্গে বৈঠক করছেন সোনীয়া গান্ধী। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে সোমবারই এনসিপি প্রধানের সঙ্গে কথা হয় সোনিয়ার। জানা যায়, নূন্যতম সাধারণ কর্মসূচি থেকে সরকার গঠনের ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা হয় দু দলের প্রধানের। এবার দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। বৈঠক শেষে কী মিলবে ‘বিকল্প’ সরকারের সবুজ সঙ্কেত। নজরে তাই কংগ্রেসের এদিনের বৈঠক।
গতকালই জল্পনা বাড়িয়ে সোমবার বৈঠক শেষে এনসিপি প্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সরকার নিয়ে নয়, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সমন্ধে সোনিয়াজীর সঙ্গে কথা হয়েছে। কংগ্রেস ও এনসিপি নেতারা ফের বৈঠক করবেন। কংগ্রেসের ভূমিকায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়া স্বাভাবিক উদ্ধব ঠাকরেদের। তবে প্রকাশ্যে তা দেখাতে নারাজ শিবসেনা। বরং, একদা শরিক বিজেপিকে নিয়ম করে আক্রমণ করে চলেছে সেনা শিবির। এতে দলের নেতা, কর্মীদের মনবল অটুট থাকবে বলে মনে করছে পার্ট নেতৃত্ব।
এদিনও দলীয় মুখপত্র ‘সামনায়’ মহারাষ্ট্র থেকে গেরুয়া শিবিরকে ‘উপড়ে’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি শিবসেনার। ‘দাম্ভিকাতার রাজনীতির শেষের শুরু’ বলে সতর্ক করেছে উদ্ধব ঠাকরে, সঞ্জয় রাউতরা। সম্রাট মহম্মদ ঘোরির সঙ্গে বিজেপির তুলনা টেনে বলা হয়েছে, ‘দল এতদিন মহারাষ্ট্রে বহু অকৃতজ্ঞদের সহ্য করেছে, এবার তাদের শেষ করার সময় এসেছে।’
সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক এগোলে উদ্ধব ঠাকরেই হচ্ছেন মহারাষ্ট্রের আগামী পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রী। সরকারে থাকবেন দু’জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। বিকল্প জোটের শরিক কংগ্রেস ও শিবসেনা থেকে হবে উপ-মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় আসন সংখ্যার অনুপাতে মন্ত্রিসভায় দফতর বন্টন হবে।
বিধানসভা ভোটে শিবিসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস পেয়েছে যথাক্রমে ৫৬, ৫৪ ও ৪৪টি আসন। এক্ষেত্রে ১৫, ১৪ ও ১৩ ফর্মুলায় দফতর ভাগ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে। সেনা স্পিকার পদ শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসের পৃথ্বীরাজ চৌহান স্পিকার পদ পেতে পারেন।
সরকারে অন্তর্ভূক্তি, নাকি বাইরে থেকে শিবসেনাকে সমর্থন দেবে কংগ্রেস ও এনসিপি। আপাতত এই নিয়ে আলোচনার জন্যই সরকার গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতির বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, উদ্ধব ঠাকরেরা সরকার গঠনের জন্য শর্ত দেওয়ার জায়গায় নেই। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে দরকষাকষি করে ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে শরদ পাওয়ার ও সোনিয়া গান্ধীরা।
Be the first to comment