করোনাভাইরাস অতিমহামারী ঠেকাতে লকডাউন করা ছাড়া উপায় ছিল না। বৃহস্পতিবার একথা স্বীকার করে নিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি সরকারের সমালোচনা করে বললেন, পরিকল্পনা ছাড়াই লকডাউন করা হয়েছে। তার ফলে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া লক্ষ লক্ষ শ্রমিক দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসে। দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেন, আমাদের দেশ এখন অভুতপূর্ব স্বাস্থ্য ও মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। আমাদের সামনে রয়েছে বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করার জন্য আমাদের মনোবল দৃঢ় হতে হবে।
সোনিয়া বাদে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ও আরও কয়েকজন প্রবীণ নেতা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। লকডাউনের ফলে দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ ব্যক্তিরা যে সমস্যায় পড়েছেন, সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সনিয়া বলেন, “আমরা দেখেছি, লক্ষ লক্ষ মানুষ শত শত কিলোমিটার হেঁটে নিজেদের গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন। তাঁদের না আছে খাদ্য না আছে আশ্রয়। তাঁদের দুর্দশা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।”
সোনিয়ার মতে, সরকারের আগেই বোঝা উচিত ছিল, লকডাউন হলে অনেকে সমস্যায় পড়বেন। সেইমতো আগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় সবরকম সাহায্য করতে হবে। তাঁদের হাজমত স্যুট, এন-৯৫ মাস্ক ইত্যাদি যথেষ্ট সংখ্যায় সরবরাহ করতে হবে অবিলম্বে।”
কৃষকদের কথা উল্লেখ করে সোনিয়া বলেন, এখন ফসল তোলার সময় এসেছে। তাঁরা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কৃষকদের অবিলম্বে সার ও কীটনাশক সরবরাহের দাবি তোলেন তিনি। ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের জন্যও তিনি সরকারি সহায়তা দাবি করেন।
Be the first to comment