বাড়িভাড়া বকেয়া পড়ে রয়েছে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর। এক সমাজকর্মীর দায়ের করা তথ্য জানার অধিকার তথা RTI-এর ভিত্তিতে জানা গেল এমনই চমকে দেওয়া তথ্য। সেই সঙ্গে জানা গেল কংগ্রেস নেতৃত্বের অধিগ্রহণে খাকা বহু সম্পত্তিরই ভাড়া মেটানো হয়নি।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে ওই জবাব থেকে? কেন্দ্রীয় গৃহ আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক সুজিত প্যাটেল নামের ওই সমাজকর্মীর আরটিআইয়ের উত্তরে যে তথ্য পেশ করেছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে, কেবল আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দপ্তরেরই বকেয়া ভাড়ার পরিমাণ ১২ কোটি ৬৯ লক্ষ ৯০২ টাকা। শেষবার ভাড়া মেটানো হয়েছিল ২০১২ সালে। এদিকে সোনিয়া গান্ধীর ১০ জনপথ রোডের বাড়ির ভাড়াও বাকি পড়ে রয়েছে প্রায় বছর দেড়েকের। শেষ বার ভাড়া দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে।
এছাড়াও বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের আগস্টের পরে মেটানো হয়নি রাজধানীতে অবস্থিত চাণক্যপুরীর সি-২/১০৯ বাংলোটির ভাড়াও। সেখানে থাকেন খোদ সোনিয়ার ব্যক্তিগত সচিব ভিনসেন্ট জর্জ। আবাসনের নিয়ম অনুযায়ী, সমস্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক দলকেই তিন বছর সময় দেওয়া হয় দলীয় ভবন নির্মাণের জন্য। এবং তারপর সেই বাড়ি খালি করে দিতে হয়। জানা যাচ্ছে, ২০১৩ সালেই আকবর রোডের বাংলো-সহ আরও দু’টি বাংলো খালি করে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বারবারই আবেদনের মাধ্যমে মেয়াদ বৃদ্ধি করে গিয়েছে কংগ্রেস।
স্বাভাবিক ভাবেই এমন ইস্যুকে হাতছাড়া করতে রাজি নয় কংগ্রেস-বিরোধীরা। বিজেপি নেতা তজিন্দর সিং বাগ্গার খোঁচা, ‘‘সোনিয়া গান্ধীজি এই ভাড়া দিতে পারছেন না ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকে। এর কারণ উনি আর কেলেঙ্কারি করতে পারছেন না। তবে রাজনৈতিক মতভেদ সত্ত্বেও আমি মানুষ হিসেবে ওঁকে সাহায্য করতে চাই। আমি সোনিয়া গান্ধী রিলিফ ফান্ড নামে প্রচার অভিযান শুরু করে ১০ টানা অনুদান দিয়েছি। সকলকেই অনুরোধ করছি ওঁকে সাহায্য করতে।’’
Be the first to comment