‘গান্ধী-নেহরুকে অপমানই উদ্দেশ্য এদের’, স্বাধীনতা দিবসের বিবৃতিতে কেন্দ্রকে তোপ সোনিয়ার

Spread the love

১৪ আগস্ট রবিবার সারা দেশে ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস’ পালন করেছে কেন্দ্র। সেই সূত্রে ফের জওহরলাল নেহরুকে দেশভাগের জন্য দায়ী করে প্রচারে নামে গেরুয়া শিবির। দলের তরফে প্রকাশ করা হয় একটি ভিডিও। যেখানে কড়া সমালোচনা করা হয় তৎকালীন কংগ্রেস নেতাদের। গতকালই যার পালটা জবাব দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ। এদিন ওই বিষয়ে মুখ খুললেন দলের শীর্ষ নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। স্বাধীনতা দিবসে বিবৃতিতে সরাসরি মোদি সরকারকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেত্রী।

সোনিয়া গান্ধীর দাবি, নিজেদের প্রচারের স্বার্থে পরিকল্পিতভাবে মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরুর মতো দেশনেতাদের অপমান করা হচ্ছে। কংগ্রেস নেত্রী আরও বলেন, দেশের জন্য যাঁরা বলিদান দিয়েছেন তাঁদেরই ছোট করছে কেন্দ্র। কংগ্রেস সভানেত্রীর কথায়, “গান্ধী-নেহেরু-আজাদ-প্যাটেলকে অপমান করতে উগ্র জাতীয়তাবাদী সরকার ইতিহাস বিকৃত করছে। কংগ্রেস এর তীব্র নিন্দা করছে।”

এছাড়াও দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের সোনিয়া বলেন, “বিজ্ঞান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গত ৭৫ বছরে বহু প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব ভারতকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। দূরদর্শী ভারতীয় নেতারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেছেন। তাঁরা একটি শক্তিশালী তথা সাংবিধানিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেছেন।” কংগ্রেস নেত্রী যোগ করেন, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও ভাষার মাধ্যমেই ভারত একটি গৌরবময় জাতি হিসাবে আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল প্রকাশ্যে আনা সাত মিনিটের নাটকীয় ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, মহম্মদ আলি জিন্নার নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগের দাবির সামনে জওহরলাল নেহরু মাথা নত করেন। এর ফলেই দেশভাগ তথা পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে র‌্যাডক্লিফ লাইন প্রসঙ্গ তোলা হয়। উল্লেখ্য, বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জন র‌্যাডক্লিফকে। প্রশ্ন তোলা হয়, ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জ্ঞান না থাকা এক ব্যক্তিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে কীভাবে ভারত ভাগ করার দায়িত্ব দেওয়া হল?

এদিকে রবিবারই বিজেপির অভিযোগ খণ্ডণ করে কংগ্রেস। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেন, বিশেষ উদ্দেশ্যেই ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস’ পালন করছেন মোদি। বলেন, “আধুনিক দিনের সাভারকর এবং জিন্নারা জাতিকে বিভক্ত করার জন্য তাঁদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*