বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে তলব করেছে ইডি। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠায় সোনিয়ার ডাক পড়েছে। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ দিল্লির ইডি দফতরে তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি ১০ জনপথ থেকে ইডি দফতর পর্যন্ত সোনিয়াকে সঙ্গ দেবেন তাবড় বিরোধী নেতারা। কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে হাজির থাকার কথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ছাড়াও রামগোপাল যাদব, সঞ্জয় ঝা প্রমুখ বিরোধী নেতার। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা হবে। কংগ্রেস এটিকে একটি মেগা ইভেন্টে পরিণত করতে চাইছে।
ইতিমধ্যে সকাল থেকে রাজধানীতে বিক্ষোভে কংগ্রেসের কর্মীরা থেকে শুরু করে মহিলা কংগ্রেসের কর্মীরাও। মহিলা কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভানেত্রী নীতা ডিসুজা জানান, সারা দেশ দেখছে কীভাবে বিরোদীদের কণ্ঠরোধ করতে ইডি, সিবিআই ও ইনকাম ট্যাক্সকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকী কংগ্রেসের দফতরেও ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে তাদের। কিন্তু এটা প্রত্যেক কংগ্রেস কর্মী ও সোনিয়া গান্ধীর আওয়াজ। যা কেউ রোধ করতে পারবে না। এভাবে কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে যখন বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরেছে, তখন সোনিয়ার ইডি অফিসে হাজিরার সময় বিরোধী নেতানেত্রীদের থাকা রাজনৈতিক দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এদিন এই কর্মসূচিতে তৃণমূলের কেউ থাকবেন না। কারণ ২১ জুলাইয়ের সমাবেশও রয়েছে আজ। এটি তৃণমূলের কাছে বড় আবেগের বিষয়। তৃণমূলের সব নেতাই আজা হাজির থাকবেন ধর্মতলায়। যদিও ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি না থাকলেও তৃণমূল ইডি দফতর পর্যন্ত সোনিয়াকে সঙ্গ দিতেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
এর আগেই রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়াকে একইসঙ্গে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সোনিয়া করোনায় আাক্রান্ত হওয়ায় তখন হাজিরা দিতে পারেননি। তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি ইডির কাছে হাজির দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় চান। সেইমতো ইডি তাঁকে সময় দেয়।
Be the first to comment