ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান কি তাহলে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ? গুজরাত-সহ একাধিক রাজ্যে সামনে বিধানসভা নির্বাচন ৷ তাই জাতীয় রাজনীতিতে হারানো জমি ফিরে পেতে স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে কি সর্বসম্মতিক্রমেই গ্রহণ করতে চলেছে তারা ? ক্রমেই জোরাল হচ্ছে প্রশ্নগুলো ৷ কারণ গত তিনদিনে দ্বিতীয়বার দশ জনপথে দেখা গেল পিকে-কে ৷ শনিবার সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, কেসি বেণুগোপালের মত কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সোমবার রাতে ফের সোনিয়ার বাসভবনে গিয়েছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ৷
প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে দলের গাঁটছড়া বাঁধতে চলার খবরে গোপনীয়তা রাখছে না কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বও ৷ শনির বৈঠকের পর কেসি বেণুগোপাল যেমন জানিয়েছিলেন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাথমিক একটি খসড়া তৈরি করে তা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে দিয়েছেন পিকে ৷ এমনকী কংগ্রেসের সঙ্গে পিকে-র সম্পর্কের পরিণতি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিষ্কার হবে বলেও জানিয়েছিলেন বেণুগোপাল ৷ শনিবার দশ জনপথের সেই বৈঠকে ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, একে অ্যান্টনি, জয়রাম রমেশ, অজয় মাকেনরা ৷
সোমেও তার পুনরাবৃত্তি হয় বলে খবর ৷ সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ওড়িশায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের খসড়া এদিন শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে পরিবেশন করেছেন পিকে ৷ মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে জোট গড়ে নির্বাচনে লড়ার কথাও কংগ্রেস হাইকমান্ডকে বলেছেন ২০২১ বাংলায় তৃণমূলের জয়ের নেপথ্য নায়ক ৷ পাশাপাশি ২০২৪-এ ৩৭০টি আসনে আইএনসি’কে একক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দিকে মনোনিবেশ করতে বলেছেন পিকে ৷
তবে কেবল ভোটকুশলী নয়, কংগ্রেসের সঙ্গে জড়াতে চাইলে আরও বেশি করে ময়দানে নামার পক্ষপাতী প্রশান্ত কিশোর ৷ সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে, কংগ্রেস হাইকমান্ড পিকে-র সেই দাবি মেনেও নিয়েছেন ৷ এখন অপেক্ষা অফিসিয়াল ঘোষণার ৷
Be the first to comment