প্রিয়াঙ্কা চাননি আবারও কংগ্রেস সভানেত্রী হোন সোনিয়া

Spread the love

দু’দফা ম্যারাথন বৈঠকের পরও নেতৃত্বের জন্য গান্ধী পরিবারের উপরেই ভরসা রাখলো কংগ্রেস ৷ কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসেবে সোনিয়া গান্ধীকেই বেছে নেওয়া হল ৷ লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর সভাপতি পদে পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধী। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সেই থেকেই নেতত্বহীন হয়ে পড়ে কংগ্রেস। সেই কারণেই দু’বছর পর আবারও সোনিয়া গান্ধীতেই ভরসা রাখল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি।

রাহুল গান্ধী ২৫মে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সভাপতি পদে পদত্যাগ করেন। লোকসভা নির্বাচনে হারের জন্য নৈতিক দায়িত্ব নিয়েই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। সেই থেকে নতুন সভাপতির জন্য নতুন মুখের সন্ধান করছিল কংগ্রেস। শনিবার CWC-এর বৈঠক ডাকা হয়েছিল, সেখানে পাঁচটি গ্রুপ তৈরি করে রাজ্য ইউনিটগুলির কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়। রাহুলই যাতে সভাপতি পদে কাজ চালিয়ে যায় সেই বিষয়ে মত উঠে আসে। তবে রাহুল নিজে এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। জানিয়ে দেন, গান্ধী পরিবারের বাইরে কারোর পরবর্তী সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়া উচিত ।

শনিবার গোটা দিন কংগ্রেস নেতারা বিভিন্ন নাম নিয়ে আলোচনা করেন। কেউ কেউ সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরে কয়েকটি নাম প্রস্তাবও করেন। যদিও সেসব নাম ধোপে টেকেনি। এরপর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম প্রস্তাব দেন যাতে সোনিয়া গান্ধী দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তবে সোনিয়া প্রথমে অস্বীকার করেন। এমন কী বৈঠকে উপস্থিত প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও চিদাম্বরমের প্রস্তাবে আপত্তি জানান। তবে তিনি বলেন, সোনিয়া যদি প্রস্তুত থাকেন তবে এই ক্ষেত্রে কেউ কিছু বলতে পারে না।

যদিও এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি দাঁড়িয়ে কিছু বলতে যান। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া তাঁকে বসতে বলেন। কেন সোনিয়া গান্ধীকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি করা যায় না সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। সিন্ধিয়া বলেন, যখন রাহুল CWC-এর সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নন তখন ম্যাডামের (সোনিয়া) দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসা উচিত। অম্বিকা সোনি, আশা কুমারী ও কুমারী শৈলজা সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা এই বক্তব্য পোষণ করেন যে গান্ধী পরিবার ছাড়া দল কাজ চালাতে পারবে না। তাঁরা সোনিয়া গান্ধীকে রাহুলকে বোঝাতে অনুরোধ করেন। যদিও সোনিয়া এনিয়ে রাহুলের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। এরপরই শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব সোনিয়াকে স্পষ্টভাবে জানান যে তাঁকেই দলের দায়িত্ব নিতে হবে। দলের নেতাদের বারবার অনুরোধে ফেলতে না পেরে ৭২ বছরের সোনিয়া “অন্তর্বর্তীকালী সভাপতি” হিসেবে দায়িত্ব পালনে রাজি হন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*