আমফানে বিধ্বংস্ত বাংলা। ঝড় থামতেই বারবার সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ঝড়ের রাতেই মমতার কাছে ফোন এল দিল্লি থেকে। বাংলার খবর নিতে মমতাকে ফোন করেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী। রাজ্যের অবস্থা নিয়ে কথা হয় দু তরফের ৷ যে কোনও প্রয়োজনে রাজ্যের পাশে থাকার আশ্বাস সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কার৷
এদিন সর্বশক্তি নিয়েই সুপার সাইক্লোন আমফান ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলায় ৷ সাগর থেকে ধ্বংসলীলা চালাতে চালাতে লন্ডভন্ড করে দেয় দুই ২৪ পরগণা সহ কলকাতা ৷ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা ৷
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ধূলিসাৎ বাংলার কয়েকটি জেলা ৷ প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গা শেষ হয়ে গিয়েছে। দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর সহ একাধিক অংশে কার্যত ধ্বংসলীলা চলেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, অন্তত ১০-১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সব ব্রিজ বন্ধ। ইলেকট্রিসিটি পুরো শেষ, জলের সংযোগ শেষ। কৃষি ক্ষেত্র সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।’
খারাপ পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে তিনটি কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রথমটা হল করোনা, দ্বিতীয়টা হল পরিযায়ী শ্রমিক ও তৃতীয় এই আমফান। এতটা ক্ষতি হবে, এমনটা আশা করেননি বলে দাবি করেম মুখ্যমন্ত্রী। পরিযায়ী শ্রমিকদের কোথায়, কিভাবে রাখবেন সেই উদ্বেগের কথাও প্রকাশ করেন মমতা।
রাজনীতি না করে কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আর্জিও জানান তিনি। সব ঠিক করতে ৪-৫ দিন সময় লাগবে বলেও উল্লেখ করেছেন।
এদিন কলকাতায় দুপুর তিনটে নাগাদ আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয় দুপুর আড়াইটে থেকেই ৭৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল চারটে পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ৩৫ টি গাছ ভেঙে পড়েছে। রেড রোড, নিউ আলিপুর, খিদিরপুর, যতীনদাস পার্ক, গড়িয়াহাট, পূর্ণদাস রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ট্যাংরা, সল্টলেকের সিডিও ব্লক ও বেহালার বহু জায়গায় গাছ পড়েছে।
Be the first to comment