ফের কাশ্মীরে এনকাউন্টারে নিহত হল তিন জঙ্গি। শনিবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোপিয়ানে। সূত্রের খবর, সোপিয়ানের আমসিপোড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩ সন্ত্রাসবাদীকে খতম করল সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী।
নিহতদের মধ্যে একজন ছিল জৈশের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার, আইইডি বিশেষজ্ঞ। তবে ৩ সেনা জওয়ানও এই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেনার ৬২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ছাড়াও এতে অংশ নেয় সিআরপিএফ ও কাশ্মীর পুলিশ। সংঘর্ষ এখনও চলছে বলে জানা গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত দু’তরফের মধ্যে গুলির লড়াই চলছে ৷ ফায়ারিংয়ের আওয়াজ থেকে আন্দাজ করা যাচ্ছে যে তিন থেকে চারজন জঙ্গি এখনও লুকিয়ে রয়েছে ৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল যে ওই এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী ৷ এবং বেশ বড় কোনও হামলার ছক কষছেন তারা৷ এরপর স্থানীয় পুলিশ ও সিআরপিএফ এর সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা৷ গোটা এলাকায় সার্চ অপারেশন চলছে৷ জঙ্গিরা একটা বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে এবং সেখান থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা চালাচ্ছে।
শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীর কুলগামে পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল এনকাউন্টারে ৩ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে জৈশ-এর কমান্ডার আইইডি বিশেষজ্ঞ ছিল বলে দাবি করেছে তারা।
কাশ্মীরের আইজির হুঁশিয়ারি কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জঙ্গি কমান্ডারদের একটি তালিকায় তৈরি করা হয়েছে। আগামী মাসে তাদেরকে খুঁজে বের করে নিকেশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
গত সপ্তাহে শনিবার নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে উত্তর কাশ্মীরের নৌগামে দুই সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা। শনিবার সকালে বারামুল্লার নৌগাম সেক্টরে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে সেনা। সেইসময় এলাকা জুড়ে সেনা টহলদারি চলছিল। তখনই সন্দেহ হওয়ায় সেনা তল্লাশি শুরু করে। আচমকাই শুরু হয় গুলির লড়াই। প্রত্যুত্তর দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীও। দুই জঙ্গি ঘটনাস্থলেই খতম হয়। উদ্ধার করা হয় দুটি এ কে ৪৭ রাইফেল। এদের সঙ্গে আরও কেউ ছিল কীনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জম্মু কাশ্মীর-সহ পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া সব এলাকায় জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে নজরদারি দ্বিগুণ করেছে সেনাবাহিনী।
Be the first to comment