জেপি নাড্ডা একজন জোকার। জঘন্য কথাবার্তা বলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি আসলে নীরব মোদিদের দল। ব্যাংকচোরদের দল৷
তবে শুধু নাড্ডা নন, এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও কটূক্তি করেছেন সৌগত রায়। অমিত শাহকে ‘পেট মোটা’ বলে কটাক্ষ করেছেন সৌগত। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাড়ি নিয়েও কটাক্ষ করেছেন দমদমের সাংসদ। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রীও দাড়ি রাখছেন, রামছাগলও দাড়ি রাখে।”
এদিন ব্যারাকপুরের সভায় বিজেপিকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন,’লকডাউনের সময় নরেন্দ্র মোদীর ব্যর্থতার জন্য পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। তাঁদের জন্য ৫ হাজার টাকা সাহায্য পর্যন্ত মোদী সরকার করেনি। ওরা সময় মতো লকডাউন না করায় করোনা এত বাড়ল। কেন সময় মতো করেনি? কারণ, ট্রাম্প আমেদাবাদে গিয়েছিলেন। তখন মোদী আর অমিত শাহ দু’জনেই আমেদাবাদে বসেছিল ট্রাম্পকে অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য। আর সে সময় দিল্লিতে দাঙ্গা হচ্ছে আর ভারতবর্ষে সেই সময় করোনা হচ্ছে, তখন ওরা ট্রাম্পকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে। আজ ট্রাম্প হেরে যাওয়ায় মোদীর উচিত ছিল কান ধরে ভারতের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া। সেই সৎ সাহস মোদির নেই।’তাঁর কটাক্ষ, “ওখানে ট্রাম্প হেরেছে, এবার মোদী হারবে।”
এদিন ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ এবং ‘একমুঠো চাল সংগ্রহ’ অভিযানের সূচনা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। কিন্তু নাড্ডার এই কৃষকপ্রীতি যে নেহাতই ‘লোক দেখানো’ এদিন সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন তৃণমূল নেতারা। সৌগত রায় বলেন, “কৃষকদের কেউ আহত করলে, সে ক্ষমতায় থাকতে পারে না। এটা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও বুঝেছিলেন।” চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বললেন, “এত দূরের পথ বেয়ে ওঁর বাংলাতে আসার সময় হয়।
অথচ, মাত্র ৪০ মিনিট দূরে দিল্লির কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে আসতে পারেন না।” তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনও এদিন টুইট করে দাবি করেছেন, “এক ‘ম’ কৃষকদের কথা ভাবেন না। আরেক ‘ম’ কৃষকদের জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করেন।” প্রথম ‘ম’ অর্থাৎ মোদীর সঙ্গে দ্বিতীয় ‘ম’ অর্থাৎ মমতার কাজের একটি তুলনামূলক পরিসংখ্যানও পেশ করেছেন তিনি।
Be the first to comment