সময় ভালো যাচ্ছে না প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের। কয়েকদিন আগেই পৌর নির্বাচনের সময় দলের বিধায়ক মদন মিত্রের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তবে সে সময় দল তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছিল। আলটপকা মন্তব্যের জন্য দল সাবধান করেছিল মদন মিত্রকে।
এবার সেই একই কারণে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে দমদমের সাংসদকে ডেকে পাঠালো তৃণমূল। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁকে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে হাজিরা দিতে হবে। যতটুকু জানা যাচ্ছে, বারবার দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন এই বর্ষীয়ান সাংসদ। আর তাতেই সৌগত রায়ের উপর ক্ষুব্ধ দল। বর্ষীয়ান সাংসদকে সতর্ক করেও লাভ হয়নি। এমনই মত দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির। তাই সৌগত রায়ের সঙ্গে এবার সামনাসামনি কথা বলতে চায় তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে দক্ষিণেশ্বর থানার উদ্বোধনে গিয়ে রাজ্যে মহিলা ‘নির্যাতন’ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় সৌগত রায়কে। তিনি বলেন, ‘‘যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, সেখানে নারী নির্যাতনের ঘটনা লজ্জার। তাঁর নেতৃত্বে একটা ঘটনাও যদি ঘটে, তবে সেটা আমাদের সকলের পক্ষে খুব লজ্জার হবে। পুলিশকে বলব নজর দিতে। এখানে একদম জিরো টলারেন্স করতে হবে। কখনও কোনও ঘটনা ঘটলে, কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
এর পরেই দলের তরফ থেকে মৌখিকভাবে সাবধান করা হয়েছিল সৌগত রায়কে। এরপর সোমবার লেকগার্ডেনসে একটি বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে বখরা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাতেও আবার আলটপকা মন্তব্য করতে শোনা যায় বর্ষীয়ান সাংসদকে। সিন্ডিকেট বিবাদে লেক গার্ডেন্সের এই ঘটনাকে নকশাল আমলের সঙ্গে তুলনা করে তাঁকে তীব্র তোপ দাগতে দেখা যায়।
এই সব নিয়েই ক্ষুব্ধ তৃণমূল। এরপরই তৃণমূলের তরফ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে যতদূর খবর এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নাও নেওয়া হতে পারে। যতদূর জানা যাচ্ছে দলের তরফে তাঁকে ডেকে সাবধান করা হতে পারে। তৃণমূলের তরফে এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই আলাদা করে সৌগত রায় এবং কুণাল ঘোষের সঙ্গে বসতে চান। সৌগত রায় তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা, দলের কাজকর্মে তার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। একই ভাবে কুনাল ঘোষ দীর্ঘদিনের সঙ্গী তাঁর। তাই তিনি চান কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ নয় বরং কথা বলে এই সমস্যার সমাধান করতে।
Be the first to comment