জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধন) বিল প্রত্যাহার নিয়ে বিরোধিতা করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় । বললেন, জম্মু ও কাশ্মীর অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয় । এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ও স্বচ্ছ ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।
সৌগত রায় বলেন, “আমি, ১১১ বিধির অধীনে জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল, ২০১৯ প্রত্যাহারের বিরোধিতা করছি । আপনারা জানেন, ১১০ বিধির অধীনে বিল প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এই বিল প্রত্যাহারের তিনটি শর্ত হল – (১) বিলের তালিকায় থাকা আইন সংক্রান্ত প্রস্তাব সরকারকে বাদ দিতে হবে (২) পুরোনো বিল সরিয়ে একটি নতুন বিল আনতে হবে । (৩) নতুন বিলে অন্যান্য নিয়মগুলিও সংযুক্ত করতে হবে ।”
বিলটি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সৌগত রায়ের বক্তব্য, “এই বিলটি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিগুলিকে সংরক্ষণ দিচ্ছিল। আজ বিল প্রত্যাহারের জন্য মন্ত্রীরা এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু আমরা বিল প্রত্যাহারের কোনও নির্দিষ্ট কারণ পাইনি । বিলে কোনও ত্রুটি নেই । তাই ১১০ বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর ব্যাখ্যা করা উচিত কী কারণে তিনি বিলটি প্রত্যাহার করছেন।”
আজ লোকসভা থেকে জম্মু -কাশ্মীর সংরক্ষণ বিলটি প্রত্যাহার করল কেন্দ্র। কারণ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণীর সংরক্ষণ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় আইন এখন কেন্দ্রশাসত অঞ্চলগুলিতে প্রযোজ্য।
২৪ জুন জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল ২০১৯ পেশ করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ আইন, (২০০৪) সংশোধন করতে এবং ১ মার্চে প্রবর্তিত অধ্যাদেশে বদল আনতে বিলটি আনা হয়েছিল । এই আইনে সামাজিক ও শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষদের জন্য নিয়োগ এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিল।
Be the first to comment