সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । আগের থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে । মাঝেমধ্যে চোখ খুলছেন তিনি । একথা জানিয়েছেন ওই বেসরকারি হাসপাতালের CEO প্রদীপ ট্যান্ডন ।
তিনি বলেন, “সৌমিত্রবাবুর কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে । কথা বললে তিনি সাড়া দিচ্ছেন । মাঝেমধ্যে চোখ খুলছেন । যদিও তাঁর শরীরে অস্থিরতা ও উত্তেজনা রয়েছে । লিভার ও কিডনির কার্যক্ষমতা, ব্লাড প্রেসার, অ্যামোনিয়ার পরিমাণ স্বাভাবিক হচ্ছে । হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের অবস্থারও উন্নতি হচ্ছে । আমাদের সামান্য অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়েছে । মাঝেমধ্যে বাইপ্যাপ সাপোর্টও দিতে হচ্ছে । আসলে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্যই এই পদক্ষেপগুলো করছি ।”
তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা CSF অ্যানালিসিস করেছি । রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি । এই রিপোর্ট পেতে কয়েকদিন সময় লাগবে । দুটি নতুন চিকিৎসা শুরু হয়েছে । একটি থার্মোসিন আলফা । অন্যটি ইন্টরাভেনাস ইমিউনোগ্লোবিন । লিমফোসাইট কাউন্ট ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এটা করা হচ্ছে । আমাদের আশা তিনি এই চিকিৎসায় সাড়া দেবেন । কোরোনাটা অনেকটাই স্বাভাবিক হচ্ছে । গত ২৪ ঘণ্টায় জ্বর ছিলই না ।”
ভারতলক্ষ্মী স্টুডিয়োতে সব নিয়ম মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজের উপর তৈরি তথ্যচিত্রের শুটিং করছিলেন সৌমিত্রবাবু । ১ অক্টোবর শুটিং শেষ হয় । তারপর ২ অক্টোবর থেকেই অসুস্থবোধ করছিলেন তিনি। এরপর বাবার শরীরের কথা চিন্তা করে পরবর্তী শুটিংয়ের তারিখ বাতিল করে দেন মেয়ে পৌলমী । এদিকে কোরোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ৫ অক্টোবর সৌমিত্রবাবুর কোরোনা পরীক্ষা করানো হয় । ৬ অক্টোবর তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । তড়িঘড়ি তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় । এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি । এদিকে ৯ অক্টোবর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে । অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাঁকে ITU-তে স্থানান্তরিত করা হয় । তবে আগের থেকে এখন তিনি অনেকটাই ভালো আছেন বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে ।
এদিকে সৌমিত্রবাবুর শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত একাধিক খবর চাউর হয় সোশাল মিডিয়ায় । ভাইরাল হয় তাঁর বর্তমান পরিস্থিতির ছবিও । এ প্রসঙ্গে প্রদীপ ট্যান্ডন বলেন, “চলচ্চিত্র জগতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানুষ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় । আমি সবার কাছে অনুরোধ করছি দয়া করে তাঁকে নিয়ে ভুল খবর ছড়াবেন না । হাসপাতালের তরফে যে মেডিকেল বুলেটিন দেওয়া হচ্ছে সেটাই বিশ্বাস করুন ।”
Be the first to comment