পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবির মধ্যেই সৌমিত্রকে তলব নাড্ডার, তবে জুটল কি শুধুই ‘বকুনি’?

Spread the love

পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবিতে মঙ্গলবারই রাজ্য বিজেপির তরফে ‘সতর্ক’ করা হয়েছিল। সেই দাবিকে খণ্ডন করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারইমধ্যে আবার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’কে তলব করলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেই সাক্ষাতের পর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ‘বকুনি’ জুটল সৌমিত্রের?

গত কয়েকদিন ধরে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলে আসছেন। সেই রেশ ধরে সৌমিত্রও পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি করতে থাকেন। পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি তুলে সৌমিত্র বলেন, ‘আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। রাঢ়বঙ্গের যুবকদের কর্মসংস্থান নেই। আমাদের এলাকার সম্পত্তি রাজ্য সরকারের কোষাগারে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের এলাকার মানুষ কিছু পাচ্ছেন না। আগামিদিনে (পৃথক রাজ্য) হিসেবে রাঢ়বঙ্গের দাবি উঠতে পারে।’

প্রাথমিকভাবে সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা না হলেও মঙ্গলবার বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেন, অখণ্ড বাংলার পক্ষেই আছে গেরুয়া শিবির। দুই সাংসদ যা বলেছেন, তা দলের বক্তব্য নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি। সঙ্গে দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের ‘অপদার্থতার’ জন্য রাজ্যজুড়ে হতাশা তৈরি হয়েছে। অনেকেই বঞ্চনার শিকার আছেন। সাংসদরা নিজের এলাকার মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। কিন্তু বিজেপির নীতি পৃথক। পশ্চিমবঙ্গকেই একটি রাজ্য হিসেবেই বিবেচনা করে বিজেপি। সেই রাজ্যের সর্বাত্মক উন্নয়নে বিশ্বাসী বিজেপি।

রাজ্য বিজেপি সভাপতির সেই মন্তব্যের মধ্যেই নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন সৌমিত্র। সেই সাক্ষাতে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সৌমিত্র অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন। স্রেফ নড্ডার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন তলব করা হয়েছিল, সে বিষয়ে কিছু জানাননি।

যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যভাগের যে দাবি তুলেছেন দুই বিজেপির সাংসদ, তাতে আখেরে গেরুয়া শিবিরেরই ক্ষতি হচ্ছে। জনমানসে খুব একটা ভালো প্রভাব পড়ছে না। উলটে ক্ষমতায় না এসেই যেভাবে বঙ্গভাগের পক্ষে সওয়াল করছেন, তাতে বাংলার মানুষের মনে বিরূপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে। আর সেইসবের জন্যই কি সৌমিত্রকে ডেকে ‘সতর্ক’ করে দিলেন নাড্ডা? আপাতত সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অলিন্দে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*