সব ঠিকঠাক থাকলে রবিবারই সকাল ১০ টায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ৷ অ্যাপেলো হাসপাতাল সুত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে৷ প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের সফল অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে ৷
তারপর থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন মহারাজ৷ বৃহস্পতিবার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির তত্ত্ববাধানে সৌরভের ধমনীতে আরও দু’টি স্টেন্ট বসানো হয় ৷ এর ফলে তাঁর তিনটি ব্লক ধমনীতেই স্টেন্ট বসানো হয়েছে ৷ ২ জানুয়ারি প্রথমবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর একটি ধমনীতে স্টেন্ট বসানো হয়েছিল ৷ তারপর কয়েকদিন বাড়িতে বিশ্রামে ছিলেন মহারাজ ৷
কিন্তু ২৭ জানুয়ারি হঠাৎ করে ফের অসুস্থবোধ করায় সৌরভকে ফের বাইপাসের ধারে অ্যাপেলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ সেখানেই বৃহস্পতিবার সৌরভের বাকি দু’টি ধমনীতে স্টেন্ট বসানো হয়৷ বেঙ্গালুরু থেকে উড়ে এসে সৌরভের স্টেন্ট বসানোতে তদারকি করেন দেবী শেঠি ৷ তাঁর সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ডে ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অজিত দেশাই, সরোজ মন্ডল এবং সপ্তর্ষি বসু ৷
স্টেন্ট বসানোর পর বিশিষ্ট এই হৃদরোগ বিশেষেজ্ঞ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, পুরো বিষয়টি সফলভাবে হয়েছে৷ কয়েকদিনের মধ্যেই ওকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে ৷ বর্তমানে চিকিৎসক আফতাব খান ও চিকিৎসক অশ্বিন মেহতার তত্ত্বাবধানে রয়েছেন সৌরভ। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পর সৌরভকে ক্রিটিক্যাল ইউনিটে রাখা হলেও শুক্রবার সৌরভকে প্রাইভেট শুটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল।
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পর সৌরভ সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সুত্রে জানানো হয়৷ ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করছেন তিনি। রাতে দারুণ ঘুম হয়েছে মহারাজের। ফলে রবিবার সকালেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট৷
সৌরভের অন্যতম চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু জানান, রবিবার সকালে সৌরভকে ছুটি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ও এখন সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে৷ চিকিৎসায় দ্রুত সাড়া দেওয়ায় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ প্রথম স্টেন্ট বসানোর পর সুস্থ হয়ে ৭ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন সৌরভ৷ কিন্তু ২০ দিনের মাথায় অর্থাৎ বুধবার আচমকাই বুকে ব্যথা শুরু হয় বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের৷ গ্রিন করিডোর করে সৌরভকে অ্যাপোলো হাসপাতালে আনা হয়েছিল৷ তবে কিছু দিনের বিশ্রামের পর ফের স্বাভাবিক জীবনে সৌরভ ফিরতে পারবেন বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা ৷
Be the first to comment