লকডাউনের কারণে আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত যাবতীয় সাধারণ যাত্রিবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রেখেছে ভারতীয় রেল। লকডাউনে বিভিন্ন শহরে আটকে পড়া সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে শুধুমাত্র ২৩০টি বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে।
আজ, সোমবার থেকে এই সমস্ত বিশেষ ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে তৎকাল কোটার সুবিধা চালু করা হল। ফলে আগামী কাল, ৩০ জুন, তৎকাল টিকিট নিয়ে এই সমস্ত বিশেষ ট্রেনে সফর করা যাবে।
তৎকাল কোটায় সফরের আগের দিন টিকিট বুকিং করতে হবে। এসি ক্লাসের ক্ষেত্রে টিকিট বুকিংয়ের সুযোগ পাওয়া যাবে সকাল ১০টা থেকে। আর স্লিপার ক্লাসের ক্ষেত্রে এর এক ঘণ্টা পরে অর্থাৎ সকাল ১১টা থেকে টিকিট বুকিংয়ের সুযোগ মিলবে। IRCTC-র ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের মাধ্যমেও টিকিট বুকিং করতে পারবেন যাত্রীরা।
অন্যান্য সাধারণ ট্রেনের মতো এই সমস্ত স্পেশ্যাল ক্ষেত্রেও তৎকাল টিকিট কাটতে গেলে সাধারণ টিকিটের তুলনায় গুণতে হবে অতিরিক্ত টাকা।কারণ তত্কাল টিকিটের জন্য কোনও বিশেষ অফার বা ছাড় দেওয়া হয় না। ফলে যাত্রীদের পকেটে অতিরিক্ত চাপ পড়তে চলেছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে ২৫ মার্চ থেকে টানা দু’মাস সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার পরে বর্তমানে দেশজুড়ে মাত্র ২৩০টি বিশেষ ট্রেন চালানো শুরু করেছে ভারতীয় রেল। এর মধ্যে ৩০টি রাজধানী এক্সপ্রেস মানের। ফলে সেগুলির ভাড়া রাজধানীর ভাড়ার সমান। বাকিগুলি অন্য দূরপাল্লার ট্রেনের মতো। এই সমস্ত ট্রেনে এসি এবং নন-এসি উভয় শ্রেণীতে সফরের সুযোগ মিলছে।
প্রথমে এই সমস্ত টেনে ৩০ দিন পর্যন্ত আগাম বুকিংয়ের সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্ধারিত সফরের ১২০ দিন আগে পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট বুকিং করা যাবে। পাশাপাশি মিলছে ওয়েটিং লিস্ট এবং আরএসি-র সুবিধা। ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের অন্তত ৪ ঘণ্টা আগে প্রথম চার্ট প্রস্তুত করা হয়। দ্বিতীয় চার্ট প্রকাশিত হয় ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা আগে।
তবে যাত্রীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে। ট্রেনে চড়ার আগে থার্মাল টেস্টে কোনও যাত্রীর দেহের তাপমাত্রা নির্ধারিত মাত্রার থেকে বেশি পাওয়া গেলে কনফার্মড টিকিট থাকলেও তাঁকে সফর করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিবর্তে টিকিটের মূল্য রিফান্ড করে দেওয়া হচ্ছে।
Be the first to comment