চলে গেলেন চাঁদনি। শনিবার সন্ধ্যায় মারা গেলেন শ্রীদেবী। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। দুবাইয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে সেসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বামী বনি কাপুর ও মেয়ে খুশি। এর সঙ্গেই শেষ হল বলিউডের প্রথম মহিলা সুপারস্টার অধ্যায়।
শ্রী আম্মা ইয়ঙ্গার আয়াপ্পান থেকে রূপালি পর্দায় হলেন “শ্রীদেবী”। ১৯৬৩ সালের ১৩ অগস্ট জন্ম তামিলনাডুর শিবকাশিতে।
১৯৬৭ সালে মাত্র চার বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ তামিল ছবি থুনাইভান- এ। ১৯৭৫ এ বলিউডে পা রাখেন শিশুশিল্পী হিসেবে “জুলি” ছবিতে। মাত্র ১৩ বছরেই অভিনেত্রী হিসেবে যাত্রা শুরু তামিল ছবি “মনদ্রু মদিচু”(১৯৭৬)। বলিউডে নায়িকা হিসেবে প্রথম ছবি “সোলবা সাওন”(১৯৭৮)। ১৯৮৩ তে জিতেন্দ্র র বিপরীতে “হিম্মতওয়ালা” শ্রীদেবীকে জনপ্রিয় করে তোলে। সেই বছরেই মাওয়ালি। পরের বছরেই তোফা। একের পর এক হিট ছবি…….নয়াকদম, মকসদ, মাস্টারজি, নজরানা, মিস্টর ইন্ডিয়া, ওয়াক্ত কি আওয়াজ, চাঁদনি। কমল হাসানের সঙ্গে “সদমা” ও অমিতাভের সঙ্গে “খুদা গবহা”। নাগিনা, মিস্টার ইন্ডিয়া ও লমহে। এই পর্বে জুদাই তাঁর শেষ ছবি।
২০১২ সালে আবার ছবির জগতে ফিরে আসেন “ইংলিশ ভিংলিশ”। পরের বছরেই পদ্মশ্রী পুরস্কার পান। ২০১৭ সালে তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি “মম”। এরপরেও শাহরুখ খানের ছবি জিরো তেও তিনি কাজ করছিলেন।
শিবকাশিতে আইনজীবী তামিল বাবা আয়াপ্পান ও তেলেগু মা রাজেশ্বরীর সন্তান শ্রীদেবী। ১৯৮০ সাল থেকে মিঠুন – শ্রীদেবীর প্রেমকথা রূপালি পর্দার রূপকথা হয়ে যায়। ১৯৮৫ সালে শ্রীদেবীর সঙ্গে বিয়ের প্রমান দেখিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনও করেন মিঠুন। পরে ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন অনিল কপুরের দাদা বনি কপুরকে। তাদের দুই মেয়ে জাহ্নবী ও খুশি।
২০১৩ সালে পদ্মশ্রী। ২০১৩ সালেই নাগিনা ও মি. ইন্ডিয়ার জন্য ফিল্ম ফেয়ার স্পেশাল পুরস্কার। জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন, জনপ্রিয়তার শিখড়ে পৌঁছেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বলিউড হারালো প্রথম মহিলা সুপারস্টার।
Be the first to comment