আদালতের নির্দেশের পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ মেনে এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে সিবিআই। পরে ডিভিশন বেঞ্চ সেই জিজ্ঞাসাবাদে স্থগিতাদেশ দিলেও স্কুল সার্ভিস কমিশনের যে কমিটির হাত ধরে নিয়োগ হয়েছে, সেই কমিটির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তাই আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই শনিবার ওই চার প্রাক্তন কর্তাকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু এ দিন বেলা বাড়লেও তাঁরা কেউই সেখানে আসেননি।
৯৮ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁদের নাম কারা সুপারিশ করেছিল, তা নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তর পেতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার পাশাপাশি হাই পাওয়ার কমিটির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার যে নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ।
সেই তালিকায় রয়েছেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) সচিব এস আচার্য, শিক্ষা দফতরের তৎকালীন ওএসডি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, স্কুল শিক্ষা দফতরের তৎকালীন ডেপুটি ডিরেক্টর একে সরকার ও দফতরের ল অফিসার টি পাঁজা। তবে, শিক্ষামন্ত্রী বদলে যাওয়ার পর ওই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি এসএসসি-র রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে গিয়েছে। এমন অভিযোগ সামনে আসায় শিকড় খুঁজে বের করতে তৎপর হয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতেই কেন্দ্রীয় সংস্থা গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহাকে।
আসলে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে এসএসসি দাবি করেছে, তারা সুপারিশ করেনি। অন্যদিকে পর্ষদ বলছে, এসএসসি-র সুপারিশের পরই নিয়োগ করা হয়েছে। তাই এই নিয়োগ কার হাত দিয়ে হল, সেটাই প্রশ্ন মামলাকারীদের। নিয়োগের সঙ্গে হাই পাওয়ার কমিটির যোগ আছে কি না, সেটাই জানতে চাইছে আদালত।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়েই ওই মামলা। ৯৮ জনের নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় শনিবার ৯৮ জনের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না ওই ৯৮ জনকে।
Be the first to comment